শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৮ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মজিবুল হক লাজুক, পাবনা:
দীর্ঘ ৫ বছর ধরে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার সোনাতলা গ্রামে অবস্থিত নাগডেমরা ইউনিয়ন পরিষদটি হরিষ ঘোষের গুয়ালে পরিনিত হয়েছে। সাবেক চেয়ারম্যান হারুন ইউনিয়ন পরিষদটিকে মগের মুল্লক বানিয়ে রেখেছিলো। কোন কাগজ ইউনিয়ন পরিষদে গ্রামবাসি নিতে আসলেই দুই হাজার তিন হাজার সাত হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানায়। এতেও সঠিক কাগজ তারা পায়নি। দীর্ঘদিন বিচার শালিশ এবং বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সাবকে চেয়ারম্যান হারুন। সোনাতলা হাটের ফেরিফেরি জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করে সকল দোকান বিক্রি করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
তারই উত্তরধিকারি সুতোয় গাথা বর্তমান পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রে দায়িত্বরত সাইফুল ও তার স্ত্রী অজেদা খাতুন একজনের দুই হাত দুই জনের চার হাত দিয়ে পাটি সাপটানোর মতো টাকা গুছিয়ে নিচ্ছে। ইতিমধ্যে তার বাড়িতে বিল্ডিং শুরু হয়েছে। পরিষদের মানুষের সাথে এরা স্বামী স্ত্রী এতো মধুমাখা কথা বলে উত্তরে সাধারণ জনতা তথ্য সেবা দানকারি সাইফুলের দিকে তাকাতেও ঘৃণা করে। মানুষ বলে এই সাইফুলকে সেবা দানের দায়িত্ব দেছে কে ? বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর ঘুরে যে সকল অভিযোগ পাওয়া গেছে সেগুলো লিখলে সুমবাদিক ভাই আপনের পেপারই ফুরো যাবি। এই সাইফুল এতো কৌশলই যে একটি জন্মসনদ নিতে আসলে জন্মসনদ ঠিকি দুইশ টাকায় দেয় কিন্তু ভাউচার দেয়না এবং ওই জন্মসনদে আরো দুই চারটি অক্ষর ভুল করে রাখে যাহাতে আবার আসে তার কেছে আবার টাকা নেবে । এমনইভাবে জন্মসনদ , ওয়ারিশন সার্টিফিকেট , প্রত্যায়নপত্র সহ অনেক কাজ তিনি ভুল করে দেন। সব চাইতে বেআইনই কাজ করেন তিনি সেটি হচ্ছে জন্মসনদের যেই বই করা হয়েছিলো এই বইগুলোতে নাম খুজার জন্য সকল পাবলিকের হাতে দিয়ে দেন। কেউ দুটি পাতা ছিরে ফেলে দিচ্ছে , অন্যের উপর শত্রুতা করে কেউবা দুটি পাতা ছিরে নিয়ে যাচ্ছে আবার কখনওবা কেউ সন্ধ্যার পড়ে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে। এতে সকল সরকারি বইগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং সরকারি তথ্য নথীপত্র গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং সম্পূর্ণ বেআইনই কাজ করছে তথ্য সেবা দানকারি সাইফুল। এদিকে পরিষদের বিভিন্ন কক্ষ ঘুড়ে দেখা গেছে যে একজন ফটোস্ট্যাট মেশিন , কম্পিউটার লেপটপ নিয়ে এক ব্যাক্তি মানুষকে সেবা দিচ্ছে বলা চলে বিনামূল্যে। আর অথচ উদ্যোক্তা নিয়োগ নিয়ে আজ ১০-১২ বছর যাবত এই সকল বেআইনই কাজ করছে এলাকাবাসি অতিষ্ট এবং এর দ্রুত এখান থেকে তাকে সড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান ইউএনও মহোদয়ের কাছে । এদিকে বর্তমান নির্বাচিত চেয়ারম্যান সাথে কথা হলে তিনি বলেন সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে অতিষ্ট আমিও ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। এ ঘটনায় আমি সাঁথিয়া ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু কোন কাজ হচ্ছেনা। চেয়ারম্যানের এই কথার মধ্যেই পাশ থেকে গ্রামবাসি বলে উঠলেন যে চেয়ারম্যান সাহেব আপনে না পারলি আমরা বিষয়টা বড় আন্দোলনে যাবো এবং উর বিরুদ্ধে যা যা ব্যবস্থা নেওয়া লাগে আমরা তা জানি। তবে পাবনা জেলা প্রশাসক ও সাঁথিয়া ইউএনও মহোদয়ের কাছে আমাদের প্রাণের দাবি অতিশীঘ্রই নাগডেমরা পরিষদের তথ্য সেবা উদ্যোক্ত স্বামী স্ত্রীকে সড়িয়ে দেওয়া হোক অন্যথায় বড় ধরণের সংঘর্ষ ঘটতে পারে।