শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২১ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মোঃ ফজলুল হক, পাবনা :
পাবনার সুজানগরে ভুয়া তথ্য দিয়ে কাজী নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ৪ কাজীর বিরুদ্ধে। সুত্রে জানা যায়, পৌরসভায় তথ্য গোপন করে নিয়োগ পেয়েছেন তারা। এই কাজী হলো মথুরাপুর গ্রামের ইসমাইল উদ্দিন এর ছেলে আরিফ বিল্লাহ, মানিকদির গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে মোঃ রিয়াজুল ইসলাম রাসেল, সুজানগর মসজিদ পাড়ার মৃত বক্কার মোল্লার ছেলে মোঃ আব্দুল লতিফ নয়ন ও সুজানগর কারিগর পাড়া গামের মোঃ মোকসেদ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম। জানাযায়,তাদের স্থায়ী ঠিকানা তথ্য গোপন করে ভুয়া তথ্য প্রদান করে কাজী নিয়োগ এমনকি প্রত্যেকটা কাজীর নিয়োগের ক্ষেত্রে যে প্যানেল তৈরি করা হয়েছে তাদের তথ্য গোপন করে ভুয়া ঠিকানা প্রদান করা হয়েছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রত্যেকটা কাজীর কোন অফিস নেই, তাদেরকে অফিসের কথা জিজ্ঞাসা করা হলে তাদের দেয়া তথ্যে মতে গিয়ে কোন অফিস পাওয়া যায়নি। তথ্যসূত্রে জানা যায় চারজন নিকা রেজিস্টার নিয়োগের নিমিত্তে সাবরেজিস্টার কর্তৃক বিগত ১৩/০২/২০১৮তারিখে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সে মোতাবেক বিদি বহির্ভূতভাবে পৌরসভার বাইরে বসবাসকারীদের নিয়ে বিতর্কিত প্যানেল তৈরি করে পুরো প্যানেলে ১২ জন প্রার্থীর মধ্যে ৮ জনে বহিরাগত উক্ত প্যানেল বাতিলের জন্য গত ১৬/০৮/২০২০ তারিখে পাবনা ২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির ডি ও লিটার প্রদান করেন । যেখানে উল্লেখ করেন নিয়ম বহির্ভূত ভাবে প্যানেলের সবাই বহিরাগত এবং যোগ্য প্রার্থীরা নিয়োগ বঞ্চিত হয়েছে। এ ব্যাপারে সুজানগর পৌর মেয়র মোঃ রেজাউল করিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি শুনেছি আমার পৌরসভার মধ্যে চারজন কাজ কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা কেহই অত্র পৌরসভার অন্তর্গত বাসিন্দা নন । সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শাহিনুজ্জামান শাহিনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন বহিরাগতরা কিভাবে নিয়োগ পায় এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের ব্যবস্থা নিতে হবে । নাম প্রকাশ না করার শর্তে সুজানগর আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জানান সুজানগর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাবেক মেয়র আব্দুল ওহাব ক্ষমতার অপব্যবহার করে বহিরাগতদের সুজানগর পৌরসভার মধ্যে চারজন কাজী নিয়োগে প্রধান ভূমিকা পালন করেন। এ বিষয়ে সুজানগর সাব রেজিস্টার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এ বিষয়ে হাইকোর্টে মামলা চলছে কোটই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে। প্রথমে কাজীদের দেখা পাওয়া গেলেও পরে উক্ত কাজীদের সাথে যোগায়োগের চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।