শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৪ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা:
পাবনার আটঘরিয়া ও আতাইকুলা থানার এজাহার নামীয় ২টি মামলার প্রধান আসামী তার স্ত্রীকে দিয়ে প্রতিপক্ষ বাদী-স্বাক্ষী ও ক্ষতিগ্রস্থদের বিরুদ্ধে আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেছেন। যা আতাইকুলা থানাকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আতাইকুলা থানার মৌগ্রামের বাসিন্দা মজনু খা’র ছেলে সন্ত্রাসী মানিক হোসেন এর স্ত্রী মোছাঃ রুনা খাতুন বাদী হয়ে পাবনা বিজ্ঞ ৫নং ম্যাজিষ্ট্রেট এর আদালতে গত ৩০-০৮-২০২২ইং তারিখে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। যার নং-৫৬/২০২২ আতাইকুলা। তিনি মোকদ্দমায় উল্লেখ করেন জিয়া ও তার স্ত্রী রোজিসহ একাধিক ব্যাক্তি অভিযোগ কারির বাড়িতে গত ১৮ আগষ্ট ২০২২ ইং তারিখে ডাকাতির জন্য প্রবেশ করে এবং নগদ টাকাসহ মুল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে চলে যায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাদীনি রুনা খাতুনের স্বামী মানিক খা আতাইকুলা ও আটঘরিয়া থানায় পৃথক দুটি মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামী। তার বিরুদ্ধে আটঘরিয়া থানায় ১টি মামলা রয়েছে যার নং-০৮/৭৩, তাং-২১-০৮-২০২২। জিআর মামলা নং৭৩/২০২২ আটঘরিয়া। এদিকে আতাইকুলা থানার মামলা নং-১৭, তাং-২৮-০৮-২০২২। জিআর আর মামলা নং-১২৯/২০২২ আতাইকুলা। মামলা দুটি দায়ের করেন, মোঃ ইজিবর রহমানের মেয়ে মাহফুজা খাতুন ও ইজিবর খা’র ছেলে ইমরান আলী খা। আটঘরিয়া থানার এজাহারে বাদী ইমরান আলী খা উল্ল্যেখ করেন, গত ৪ আগষ্ট ২০২২ তিনি আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত বাজারে সিএনজি স্ট্যান্ডে চেইন মাষ্টারের দায়িত্ব পালন কালে মানিক খার নেতৃত্বে ১৭জন সশস্ত্র সন্ত্রাসি তাকে ও সোহান নামে এক যুবককে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরত্বর জখম করে। তাদেরকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে আতাইকুলা থানায় দায়ের হওয়া মামলার বাদীনি মোছা: মাহফুজা খাতুন উল্ল্যেখ করেন, তিনি তার বাবার বাড়িতে অবস্থান কালে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে মানিক খার নেতৃত্বে গত ১০ আগষ্ট ২০২২ তারিখে প্রায় ৩০/৩২জন আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। হামলায় তার বাবা ইজিবর খাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরত্বর জখম করে। পরে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে। গুলি পায়ে বিদ্ধ হয়ে গুরত্বর আহত হন। এসময় ইজিবর খাকে বাঁচাতে তার নিকট আত্মিয়রা এগিয়ে গেলে তাদেরকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরত্বর জখম করে। সেই হামলায় ইজিবর খাসহ আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। এরপর আতাইকুলা থানায় অভিযোগ জমা দিলে তদন্ত শেষে গত ২৮ আগষ্ট অভিযোগটি এজাহার হিসাবে অন্তভুক্ত করেন।
এসব মামলা থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে এজাহার নামীয় প্রধান আসামীর স্ত্রী রুনা খাতুনকে দিয়ে আদালতে ডাকাতির মামলা দায়ের করেন যা তদন্তনাধীন রয়েছে।
এদিকে রুনার দায়ের করা মামলার ২নং আসামী ও আতাইকুলা ইউনিয়নের ১,২,৩ ওয়ার্ডের মহিলা সংরক্ষিত আসনের সদস্য রোজিনা খাতুন রোজি বলেন, সন্ত্রাসী মানিক হোসেন পুর্ব শত্রুতার জের ধরে একের পর এক হামলা করে আমার পরিবার আত্মিয় স্বজনসহ ১৫জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে গুরত্বর আহত করেছে। আহতদের চিকিৎসা করতে গিয়ে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছি। এখন আবার আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে আমাদেরকে আবার হয়রানি শুরু করেছে।
তিনি পাবনার উর্দ্ধতন প্রশাসনের কাছে মানিক হোসেনসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করে জান-মাল রক্ষার আকুল আবেদন করেন। তা না হলে মানিক গংদের হামলায় জান-মালের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে তারা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছে না বলে তিনি আরো জানান।