admin
- ১৪ নভেম্বর, ২০২২ / ৯৬ Time View
Reading Time: 2 minutes
এম আর রাসেল হোসাইন ঈশ্বরদী (পাবনা)।
পাবনা ঈশ্বরদী ইপিজেডের চারতলা থেকে লাফিয়ে এসএম খাইরুল আজম ২৯ নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার ১৩-ই নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত খাইরুল আজম কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানাধীন মির্জানগর এলাকার মো. আজিম-উদ-দৌলার ছেলে। সে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ হতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে। গত দেড় মাস যাবৎ ঈশ্বরদী ইপিজেডের রেনেসা বারিদ্র লিমিটেড এর ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করছেন।
খাইরুল আজমের বাবা জানান, প্রতিদিনের ন্যায় আজকেও আমার ছেলে সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে বাড়ি হতে তাহার কর্মস্থল ঈশ্বরদী ইপিজেডের রেনেসা বারিন্দ্র লিমিটেড উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কর্মস্থলে যথাসময়ে উপস্থিত হয়ে ডিউটি করার এক পর্যায়ে দুপুর অনুমান সাড়ে ১২টার দিকে অফিস থেকে একটি মোবাইল ফোনে আমাকে জানান যে, আমার ছেলে এস এম খাইরুল আজম তার কর্মরত ভবনের চতুর্থ তলা থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।
খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষনিক ভাবে আমার পরিবারের লোকজনসহ ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে দেখি আমার ছেলের মৃতদেহ স্ব্যাস্থ কমপ্লেক্সের বারান্দায় পরে রয়েছে। এসময় তিনি তার ছেলে চতুর্থ তলা বিল্ডিং হইতে লাফ দিয়ে নিজে নিজেই আত্মহত্যা করেছে বলেও জানান। রেনেসা বারিন্দ্র লিমিটেড এর অ্যাডমিন ম্যানেজার অমিত কুমার কুন্ডু জানান, আমি দুপুরে একটি ছেলে পরে গেছে মর্মে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। সেখানে গিয়ে দেখি আহত অবস্থায় খাইরুলকে আমাদের নিজেস্ব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নিয়েছে। সেখানে তার অবস্থা গুরুতর দেখে সেখানকার কর্তব্যরত নার্স তাকে দ্রুত ঈশ্বরদী সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। আমরা তাকে দ্রুত ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। রুপপু পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ঈশ্বরদী ইপিজেডের রেনেসা বারিদ্র লিমিটেড এ একটি ছেলে লাফিয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে জানতে পেরে আমি এবং ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার সেখানে উপস্থিত হয় এবং ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত হতে সেখানেকার স্থাপিত ক্যামেরা ফুটেজ দেখতে চাই। এসময় ভিডিওতে আমরা দেখতে পায়, সকাল ১১.৪৮ ঘটিকার সময় নিহত খাইরুলের মোবাইল ফেনে একটি কল আসে এবং সে কথা বলেন। কথা শেষ করার পর থেকে তার স্বাভাবিক চলা চলে ছন্দ পতন দেখা যায়। এমতাবস্তায় দুপুর ১২.১৭ মিনিটের দিকে সে তার কক্ষ ছেরে সিঁড়ি বেয়ে একই ভবনের ৪ তলায় উঠেন। সেখানকার রেলিং ডিঙ্গিয়ে ১২.২০ মিনিটে খাইরুল নিচে লাফ দেন। তিনি আরও বলেন, আমরা গোপনসূত্রে জানতে পেরেছি, নিহত খাইরুলের প্রেমিকার আজ গায়ে হলুদ। সে হয়তো সেই শোক সহ্য করতে না পেরেই স্বেচ্ছায় আত্মহত্যা করেছে।