নিজস্ব সংবাদদাতা,ঈশ্বরদী পাবনা:
পাবনা ঈশ্বরদী ইপিডেজে নারী কেলেঙ্কারী, মামলা নেয়নি পুলিশ ঈশ্বরদী ইপিডেজে নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনা ঘটেছে। বিয়ের প্রলোভোনে প্রেমের সম্পর্ক থেকে শারিরিক সম্পর্ক গড়ালেও বিয়েতে অনাস্থা ছেলের । বিয়ের দাবিতে থানায় আসলেও মামলা নেয়নি পুলিশ, দেখিয়েছে কোর্ট, জানিয়েছিন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ঈশ্বরদীর পাকশি ইপিজেডের নাকানো কোম্পানির দুই কর্মচারীর মধ্যে। অভিযুক্ত আবু সুফিয়ান যশোর জেলার কোতোয়ালি থানার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মো. ঈমান আলীর ছেলে এবং মোছা. শিলা খাতুন ( ছদ্ম নাম) ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশি ইউনিয়নের বাসিন্দা। জানাগেছে, নাকানো কোম্পানির অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার মো. আবু সুফিয়ান (৩০) এবং একই কোম্পানির (ছদ্ম নাম) মোছা. শিলা খাতুনের (২৬) মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দনি গড়িয়ে গভীর প্রেম রুপ নেয় শারিরিক সম্পর্কে। বিষয় গুলো কোম্পানির অভ্যন্তরে জানাজানি হলে নাকানোর হেডঅব এ্যাডমিনসহ কোম্পানির উদ্ধতন কর্মকর্তারা সত্যতা নিশ্চিন্তে ২৭ আগষ্ট আলোচনায় বসার উদ্যোগ নেন এবং বিষয়টি তাদের দুজনকেই অবহিত করেন। কোম্পানির এমন সিদ্ধান্তে আশু বিপদ দেখে কৌশলী আবু সুফিয়ান প্রেমিকা শিলাকে (ছদ্মনাম) ফুসলিয়ে দেখিয়ে গত ২৬ আগষ্ট সকালে সাগর দাঁড়ি ট্রেন যোগে যশোর নিয়ে যান। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২৭ তারিখের মিটিংয়ে তাদের সম্পর্কের কথা লুকানোর কথা বলে আবার ঈশ্বরদীতে ফেরত আসেন। সুফিয়ানের পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে শিলা মিটিংয়ে সুফিয়ানের পড়ানো বুলি আওড়ান সবার সামনে। শিলার দেয়া জবানবন্দীতে সুফিয়ানের চাকরি বেঁচে যায়। তবে শিলাকে দেয়া সুফিয়ানের কমিটমেন্ট ঠিক রাখতে গত ২৮ শে আগষ্ট রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকার দিকে শিলার খালার বাড়ীতে হাজির হন শিলা এবং সুফিয়ান। সেখানেই তাদের বিবাহ হবে মর্মে দুই পরিবারের অবিভাবককে একত্রিত করার সম্মতি জ্ঞাপন করেন উভয়েই। কথা মত শিলার পরিবারের সবাই হাজির হলেও সুফিয়ানের পরিবারের সদস্যরা তাতে বাধসাধে এবং তারা যশোর থেকে উল্লেখিত স্থানে হাজির না হয়ে তারা ঈশ্বরদী থানা পুলিশে দ্বারস্থ হন এবং তার ছেলে সুফিয়ানকে জোর পূর্ব ক আটকে রেখেছে মর্মে থানা পুলিশকে অবহিত করেন। রুপপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রায়হান পারভেজ জানান, ঈশ্বরদী থানা থেকে অভিযোগ পেয়ে রাত আনুমানিক ২ ঘটিকার দিকে আমরা হাজির হই এবং ভিকটিমকে আবু সুফিয়ানকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি। পরে ঈশ্বরদী থানা থেকে আবু সুফিয়ানকে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। অভিযুক্ত শিলার পরিবারকে না জানিয়ে আবু সুফিয়ানকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে জেনে শিলা তার পরিবারের সদস্যদের সহযোাগীতায় ঈশ্বরদী থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে সেখানে তাদের কোন মামলা না নিয়ে উল্টো তাদের কোর্ট দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন শিলার বাবা। শিলার বাবা আরও বলেন, সোমবার ২৯ আগষ্ট দুপুর ১ ঘটিকার দিকে ঈশ্বরদী থানায় মামলার জন্য গেলে সেখানকার ডিউটি অফিসার মামলা নেননি সে সময় আমরা ওসি সাহেবের সাথে দেখা করতে চাইলে তিনি আমাদেরকে ওসি সাহেবের সাথে দেখা করতে বাধা দিয়েছেন। জানতে চাইলে ভিকটিম শিলা বলেন, আমরা গরিব মানুষ তাই আবু সুফিয়ানের বাবার টাকার কাছে হেরে গেছি। পুলিশ টাকা খেয়ে আমাদের থেকে কোন কিছু না শুনে তাকে ছেড়ে দিয়েছে এমন কি আমাদের মামলাটাও তারা নেয়নি । উল্টো আমাদের কোর্ট দেখিয়ে বলেছেন আপনারা এখানে নয় কোর্টে গিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করুন । এখানে আপনাদের কোন কাজ নেই। তিনি আরও বলেন, রাতে পুলিশ যখন আমাদের ওখানে এসেছিলো তখন আমি তাদের পায়ে ধরে ষঠিক বিচারের চেয়ে আকুতি করেছি কিন্তু তার আমাকে ঝেটকি মেরে সুফিয়ানকে নিয়ে চলে গেছে। তখনি বুঝেছি আসলে টাকা থাকলে সবই হয় টাকা ছাড়া কেউ কথা শুনে না। অভিযুক্ত আবু সুফিয়ানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এবিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাচ্ছি না। শিলাকে নিয়ে যশোর কেন গিয়েছিলেন জানতে চাইলে মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফোনটি বন্ধ করে দেন। বিষয়টি জানতে থানায় গেলে সেখানে কর্মরত ডিউটি অফিসার ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন, এমন কোন ঘটনা থানায় ঘটেনি এবং ঘটেছে বলেও আমার জানা নাই।