বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১৬ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
স্টাফ রিপোর্টার :
পাবনা জেনারেল হাসপাতালে মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের এক ছাত্রীকে করোনা টিকার শূন্য সিরিঞ্জ পুশ করতে গিয়ে এক স্বাস্থ্য কর্মী হাতেনাতে ধরা খেয়েছে। গত বুধবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায় এদিন মেডিকেল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের টিকা দেয়ার দিন ছিলো। মেডিকেলের শেষ বর্ষের ঐ ছাত্রী দীর্ঘক্ষণ লাইনে থেকে টিকার টেবিলে পৌছায়। তারপর তাকে টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু করা হয়। ইনজেকশন দেয়াকালে খালি সিরিঞ্জ পুশ করা দেখে মেডিকেল ছাত্রী এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুল হয়ে গেছে বলে তাকে জানান স্বাস্থ্যকর্মী। পরে আবার তাকে ভ্যাকসিনসহ টিকার ইঞ্জেকশন পুশ করা হয়। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করলে তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ও জেলার সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন মেডিকেল ছাত্রীর পিতা অ্যাডভোকেট আব্দুল হান্নান। তিনি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।তিনি আরও বলেন, এভাবে সাধারণ মানুষকে ফাঁকি দিয়ে ভ্যাকসিন বাঁচানোর উদ্দেশ্য কি ? তাহলে কি এগুলো গোপনে বিক্রয় করা হবে? তিনি মেডিকেলের ছাত্র-ছাত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, আপনারাও এর প্রতিবাদ করুন যেনো টাংগাইলের মতো ঘটনা না ঘটে। সরকারের টিকা সম্পর্কিত সুন্দর প্রচেষ্টাকে যেনো কেউ কলুষিত করতে না পারে । উল্লেখ্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে এ ধরনের ঘটনা নতুন কোন বিষয় নয়। ইতিপুর্বেও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপারসহ আরও অনেক লোককে করোনার টিকা দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও হাসপাতালে ডিউটি ঠিকমত পালন না করে প্রাইভেট প্র্যাকটিস নিয়ে ব্যস্ত থাকা, করোনা রোগীর চিকিৎসা দিতে গড়িমসি করা,রোগী ও রোগীর লোকজনের সাথে দুর্ব্যবহার করা,করোনা রোগীদের অক্সিজেন সিলিন্ডার দেয়া নিয়ে ধান্ধাবাজী, করোনা পরীক্ষার নমুনা দিতে আসা লোকজনকে হয়রানী করাসহ আরও অনেক গুরতর অভিযোগ রয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও হাসপাতাল কর্মরত লোকজনের বিরুদ্ধে। কিন্ত প্রতিকারের কোন ব্যবস্থা নেই।