বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
এম.আর রাসেল, পাবনা :
পাবনা নির্বাচন অফিসে ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ ২০২২ উপলক্ষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে লোকবল নিয়োগে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রিতি ও অনৈতিক লেন-দেনের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের শর্তাবলি ভঙ্গ করে অভিযুক্তদের নিয়োগ দিয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। এদিকে নিয়োগ প্রাপ্তদের মধ্যে স্বজনপ্রীতিও রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, গত ৫ এপ্রিল পাবনা জেলা নির্বাচন অফিস ৩টি ক্যাটাগরিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর প্রায় শতাধিক প্রার্থী নিয়োগ পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করে। সর্বশেষ ৩০মে পরিক্ষায় উর্ত্তিন্ন ৩৩ জন প্রার্থীকে চুড়ান্ত প্রার্থী বিবেচনা করে একটি তালিকা প্রকাশ করে। প্রকাশিত তালিকায় ইতিপুর্বে অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছিল তাদেরকেই আবার নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে করে হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রনয়নে আবারও দুনীতি ও অনিয়ম শুরু হতে পারে। ইতিপুর্বে অনিয়মের দায়ে অভিযুক্তরা হলেন, মোঃ খান আরিফ, মোঃ লালন, মোঃ ইমন, মোছাঃ মারিয়া খাতুন, আমির হামজা ও মোঃ তানভীর। আমির হামজা ও তানভীর নির্বাচন অফিসের দালাল হিসেবে চিহিৃত রয়েছে। আমির হামজা ও তানভীর জনৈক এক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যের কাছে এনআইডি কার্ড সংশোধনের কথা বলে টাকা দাবি করার কারনে বহিস্কৃত হয়েছিল। বিষয়টি নির্বাচন অফিসের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষসহ সকল কর্মকর্তারাই সে সময়ে অবগত হয়েছিল। ২০১৯ সালে আরিফ খানের বিরুদ্ধে হাল নাগাদ ভোটার তালিকায় একই ব্যাক্তিকে একাধিক ভোটার করার অভিযোগে বহিস্কার করা হয়েছিল। ইমনকে অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য বহিস্কার করা হয়েছিল। এমন বির্তকিত ব্যাক্তিদের এবারেও নিয়োগ প্রদান করে অনিয়ম করার সুযোগ করে দিয়েছে বলে একাধিক নিয়োগ প্রর্থীদের অভিমত। এদিকে এমন বির্তকিত ব্যাক্তিদের নিয়োগ দেওয়ায় বঞ্চিত নিয়োগ প্রার্থীরা পাবনা জেলা প্রশাসক, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান সির্বাচন কমিশনার বরাবর অভিযোগ প্রেরন করেছেন। অনিয়মের বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কায়ছার আহম্মেদ বলেন, যেহুতু ২০১৯ সালে আমি ছিলাম না। তাই সে সময়ে কোন তথ্য আমার জানা নেই। তবে আমি এটুকুই জানি যারা পাশ করেছে এবং অভিজ্ঞ তাদেরকেই চুড়ান্ত বলে গণ্য করা হয়েছে। আর পরিক্ষার খাতা দেখার দায়িত্ব ছিল পাবনা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বজলুল করিম সাহেবের উপর। এদিকে বঞ্চিততের দাবি, অভিযুক্তদের বাদ দিয়ে যোগ্য ও অভিজ্ঞদের নিয়োগ দিয়ে ভোটার তালিকা সুষ্ঠ প্রনয়নের।