শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
মনিরুজ্জামান মনির, পাবনা :
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড পাবনার সুজানগর শাখার উদ্যোগে গত বুধবার এক ইফতার ও দোয়া মাহফিল ব্যাংক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। আর ওই ইফতার ও দোয়া মাহফিলে বিএনপি নেতা, মুক্তিযোদ্ধা এবং ব্যাংকের প্রান্তিক গ্রাহকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এতে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম আলী বিশ্বাস বলেন ইসলাম ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কাছে বিএনপি এখন মরা ঘোড়ায় পরিণত হয়েছে। সেকারণে তারা তাদের ইফতার মাফিলে বিএনপি নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মূল্যায়ন করার প্রয়োজন মনে করে নাই। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবদুল হাই বলেন ইসলামি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দৃষ্টিতে মুক্তিযোদ্ধারা সমাজের কোন সম্মানী ব্যক্তির মধ্যে পড়েনা। তাছাড়া দেশতো এখন স্বাধীন, পরাধীন নয়। সেকারণে ইসলামি ব্যাংকের ইফতার মাহফিলে মুক্তিযোদ্ধাদের আমন্ত্রণ জানানোর কি প্রয়োজন আছে। ব্যাংকের প্রান্তিক গ্রাহক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ বলেন ইসলামি ব্যাংকের ইফতার মাহফিলে আমন্ত্রণ পেতে হলে কোটি কোটি টাকা লেনদেনকারী গ্রাহক হতে হয়। কেননা কোটি কোটি টাকা লেনদেন করলে অনেক অনেক মুনাফা হয়। বিশেষ করে ব্যাংকে যে সকল গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকার সিসি লোন আছে ইফতার মাহফিলে তাদের সব চেয়ে গুরুত্ব বেশি। কিন্তু আমাদের মতো প্রান্তিক গ্রাহকদের কোন গুরুত্ব নেই। কেননা আমরা ব্যাংকে টাকা-পয়সা লেনদেন কম করি। সেকারণে আমাদের মতো প্রান্তিক গ্রাহকদের ইফতার ও দোয়া মাহফিলে আমন্ত্রণ জানানো হয়না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বয়ং ব্যাংকের একজন দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা বলেন ইসলামি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নীতি হলো তেলে মাথায় তেল দেওয়া। সেকারণে ইফতার ও দোয়া মাহফিলসহ ব্যাংকের যে কোন অনুষ্ঠানে সেই সকল ব্যক্তি এবং গ্রাহকদের আমন্ত্রণ জানানো হয় যাদের মাথায় তেল আছে। এ ব্যাপারে ব্যাংকের ম্যানেজারকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।