রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন

News Headline :
মিছিলে গিয়ে নিখোঁজ শাহীন এক মাসেও বাড়ি ফেরেনি, মর্গে থাকা লাশের দাবি পরিবারের পাবনায় নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের এক মাস পূর্ণ হওয়ায় শহীদদের স্মরণে পাবনায় শহীদি মার্চ কর্মসূচি পালন টাংগাইলের মধুপুরে “শহীদি মার্চ পালন” কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে লুট হওয়া একটি গ্যাসগান উদ্ধার নওগাঁর মান্দায় লীজকৃত পুকুরের দখল পাচ্ছেন না যুবদলনেতা আব্দুল জলিল জুড়ীতে নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন সাংবাদিকদের সাথে খাগড়াছড়ি পৌর প্রশাসনের মতবিনিময় সভা ইবিতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি পালন রাজশাহীতে শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৪১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

পাবনা সুজানগর পদ্মার দুর্গম বালুচরে গুচ্ছগ্রাম, বসবাসের অযোগ্য হওয়ায় ঘর ছাড়ছেন বাসিন্দারা

Reading Time: 2 minutes

পাবনা সুজানগর পদ্মার দুর্গম বালুচরে গুচ্ছগ্রাম, বসবাসের অযোগ্য হওয়ায় ঘর ছাড়ছেন বাসিন্দারা

সেলিম মোর্শেদ রানা,সুজানগর(পাবনা)ঃ-

সরকারি প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে হবে, পরে যা হয় তাই হবে। হয় খাল, নয় নদ নদী এমনটাই ঘটেছে পাবনা সুজানগর উপজেলা ভায়না ইউনিয়নে চড় ভবানিপুর পদ্মা নদির মাঝে
ঘর পাওয়ার আনন্দে প্রথমে চোখে মুখে উচ্ছ¡াস থাকলেও এখন আর সেই উচ্ছ¡াস নেই সুজানগরের গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের। মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে প্রতিকূলতার সাথে যুদ্ধ করতে হচ্ছে তাদের। পাচ্ছেন না স্বাস্থ্য সেবা সহ সরকারি নানা সেবা। গুচ্ছগ্রামে ছোট একটি কক্ষ পেলেও বসতি অনুপযোগী হওয়ায় মানবেতর নিয়ে জীবনযাপন করেছে গুচ্ছগ্রামে বসবাস করা অসহায় ভূমিহীন দরিদ্র মানুষেরা। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাযায় উপজেলার পদ্মার চরের চরভবানীপুরে জনমানব শূন্য দূর্গম বালুচরে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে গুচ্ছগ্রাম দ্বিতীয় পর্যায়ে (সিভিআরপি) প্রকল্পের আওতায় ৬৮ লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা ব্যয়ে মাটির ডোয়া ও টিনের বেড়া দেওয়া নতুন ৪০টি ঘর নির্মাণ করা হয়। বাস্তবায়নকাজ শেষে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয় । কিন্তু দুর্গম চর অঞ্চল হওয়ায় এখানে নেই কোন বিদ্যুৎ,যাতায়াতের রাস্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ ও সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা । এ কারণে ৬ মাস না যেতেই গুচ্ছগ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন এখানকার বাসিন্দারা। গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দরা জানান নানা সমস্যায় জর্জরিত তারা। গুচ্ছগ্রামে নেই বিদ্যুৎ সুবিধা,বাচ্চাদের জন্য নেই স্কুল, নেই মসজিদ। ৪০টি ভূমিহীন পরিবারের নামে ঘর বরাদ্দ হলেও বসবাস করছে ১৫ টি পরিবার। গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা বাবুল শেখ জানান এখানে আমরা যে পরিবারগুলো বসবাস করি এদের মধ্যে কেউ দিনমজুর হিসেবে আবার কেউ ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। কিন্তু আশপাশে কোন মানুষজন ও গ্রাম না থাকায় বর্ষার সময় নৌকায় এবং অন্য সময়ে কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হয় সুজানগর শহর এলাকায়। তাই চরে চাষাবাদ করার জন্য সরকারি খাসজমি তাদের নামে বন্দোবস্ত দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান ।যাতে পরিবার নিয়ে আগামী দিনগুলোতে দু’মুটো ভাত খেয়ে তারা বাঁচতে বাচতে পারে। ছাত্তার সরদার নামক অপর বাসিন্দা বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় তাদের অন্ধকারে রাত কাটাতে হয়। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করতে হয় কুপিবাতি অথবা হারিকেনের আলোয়। আর দৈনন্দিনের কাজকর্ম,বাজার করা,এমনকি মোবাইল ফোন চার্জ দিতে পায়ে হেঁটে প্রায় চার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সুজানগর শহর এলাকায় যেতে হয়। আলেয়া খাতুন নামে অপর বাসিন্দা বলেন, এখানে আমরা যারা বসবাস করি তাদের রান্না করতেও অনেক কষ্ট করতে হয়। বালুচর হওয়ায় কোন জ্বালানি পাওয়া যায়না। আবার গ্যাসের চুলা কেনারও সামর্থ নেই আমাদের। গুচ্ছগ্রামে এতগুলো পরিবারের জন্য মাত্র ২টি টিউবওয়েল ও ২টি গোসলখানা হওয়ায় দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। গুচ্ছগ্রামের ঘর বরাদ্দ পাওয়া উপকারভোগীর তালিকায় নাম থাকা চর-সুজানগর গ্রামের বাসিন্দা মোছা হাসিনা খাতুন বলেন,তার মতো আরো অনেক পরিবারের নাম তালিকায় থাকলেও দুর্গম চর অঞ্চল হওয়ায় সেখানে যাননি । উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রওশন আলী জানান, ইতিমধ্যে গুচ্ছগ্রামে বিদ্যুৎ-সংযোগের কাজ শুরু করেছে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। আর যে সকল পরিবার বসবাস করছেনা তাদের নাম বাদ দিয়ে নতুন পরিবারগুলোকে বরাদ্দ দেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com