শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৩ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
মাসুদ রানা রাব্বানী,রাজশাহী:
কেন্দ্রঘোষিত বিক্ষোভ-সমাবেশ কর্মসূচি রাজশাহীতে পালন করতে পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছিল জামায়াতে ইসলামী। তবে পুলিশ অনুমতি দেয়নি। অনুমতি না পেলেও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকালে কমসূচি পালন করেছেন।এর আগে গত মঙ্গলবার বিক্ষোভ-সমাবেশ করতে অনুমতি চেয়ে জামায়াত নেতারা রাজশাহী নগর পুলিশের (আরএমপি) সদর দপ্তরে গিয়ে লিখিত আবেদন দিয়ে আসেন। দীর্ঘদিন পর রাজশাহীতে কর্মসূচি পালনের জন্য এভাবে আবেদন করা হয়েছিল।আবেদনে জামায়াত জানিয়েছিল, শুক্রবার দুপুরে নগরীর হেতেমখাঁ এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করতে চায় তারা। সাহেববাজার ঘুরে মিছিলটি একই স্থানে শেষ করে সমাবেশ করতে চায়। তবে পুলিশ এই কমসূচি পালনের অনুমতি দেয়নি। তারপরও জামায়াত কর্মসূচি পালন করে। তবে দুপুরে হেতেমখাঁ এলাকায় কর্মসূচি পালন না করে সকাল ৯টায় নগরীর ব্যস্ততম রেলগেট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে সমাবেশও করা হয়।
তত্ত¡াবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ অন্য নেতাদের মুক্তি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে এই বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। এতে জামায়াত-শিবিরের কয়েক’শ নেতা-কর্মী অংশ নেন। নেতৃত্ব দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরের আমির ড. কেরামত আলী।রেলগেট থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে রাজশাহী-নওগাঁ সড়ক হয়ে প্রায় এক কিলোমিটার উত্তরে শালবাগান মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়। কয়েক মিনিট স্থায়ী এই সমাবেশে ড. কেরামত আলী ছাড়াও নগর জামায়াতের সেক্রেটারি এমাজ উদ্দিন মÐল বক্তব্য দেন।এ সময় সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ, যুব সেক্রেটারি জসিম উদ্দিন সরকার, ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী মহানগরের সভাপতি ওসামা রায়হান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আহমেদ আব্দুল্লাহসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচি পালনের সময় পুলিশ দেখা যায়নি। পুলিশ আসার আগেই জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা কর্মসূচি শেষ করে চলে যান। এই বিক্ষোভ-সমাবেশের বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দ হোসেন বলেন, এ ধরনের একটি বিক্ষোভ-মিছিল হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। এর বেশি কিছু তিনি বলতে চাননি।