শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৭ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
শহিদুল ইসলাম, খুলনা :
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ৬ নম্বর মাগুরাঘোনা ইউনিয়নে ব্যাতাগ্রামের প্রবাসী বাবলু মোড়লের স্ত্রীকে অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে । এ বিষয়ে বাবলু মোড়লের স্ত্রী গত ০৭/০৮/২০২১ ইং তারিখ নিজে ডুমুরিয়া থানায় একটি লিখতে অভিযোগ করেছে। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন মোসাঃ রাবেয়া বেগম (৩০) স্বামী মোঃ বাবলু মোড়ল, সাং বেতাগ্রাম,ডাক মাগুরাঘোনা, থানা ডুমুরিয়া, জেলা খুলনা । অত্র থানায় এসে বিবাদী ১। মোঃ নাজমুল গাজী (৩৮) পিং মোঃ শামছুর রহমান গাজী। ২। মোঃ শামছুর রহমান গাজী (৫৬ ) পিতা অজ্ঞাত। উভয় সাং ব্যাতাগ্রাম ডাক মাগুরাঘোনা, থানা ডুমুরিয়া,জেলা খুলনাদ্বয় সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন বিবাদী গনের বিরুদ্ধে। এই মর্মে লিখিত অভিযোগ দায়ের করছি যে, আমি প্রতিদিনের ন্যায় রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে। আমার বসত ঘরের সিটকানি বন্ধ করে। গত ইংরেজি ০২/০৮/২০২১তারিখে রাত্রে অনুমান ১০:০০ ঘটিকার সময় ঘুমিয়ে পড়ি। ইং ০৩/০৮/২০২১ তারিখ রাত অনুমান ০৩:০০ঘটিকার সময় আর পাশের রুমে থাকা আমার শাশুড়ি ও দেবর মোসাঃ হামিদা বেগম ও মাসুদুর রহমান ঘুমের দরজা খোলার শব্দ শুনে জেগে বাহিরে এসে ৬/৭ জন লোককে আমার রুম থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় লাইটের আলোতে উল্লেখিত বিবাদীদ্বকে কে চিনতে পারে । তখন আমার দেবর ও শাশুড়ি আমার রুমে প্রবেশ করে। দেখ এই যে উক্ত বিবাদী সহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন বিবাদীগন কৈশলে ছিটকানি খুলে আমার রুমের ভেতরে প্রবেশ করে আমাকে চেতনানাশক ঔষধ দিয়ে অজ্ঞান করে ড্রয়ারে থাকা আমার ব্যবহৃত দুটি স্বর্ণের বালা ,দুইটি স্বর্ণের চুড়ি, তিনটি স্বর্ণের চেইন,তিন জোড়া কানের দুল,আটটি স্বর্ণের আংটি সহ ১৪ ভরি স্বর্নালংকার, যার মুল্য আনুমানিক ১০,২২,০০০/- (দশ লক্ষ বাইশহাজার ) টাকা, নগদ গচ্ছিত ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা ০১ টি হ্যান্ড সেট,সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ডুমুরিয়া শাখার একটি চেক বই, যাহার হিসাব নাম্বার ২৭১১০০১০৪৪৯৩২ চুরি করে নিয়ে গেছে । তখন আমার শাশুড়িও দেবর ডাক চিৎকার দিলে স্বাক্ষী ১। মোঃ আবু বক্কর মোড়ল (৬০) পিতা-মৃত শরিতুল্য মোড়ল । ২। মোঃ আব্দুল আজিজ মোড়ল (৫৮)। পিতা-মৃত জব্বার মোড়ল। ৩।মোঃ আশরাফুল ইসলাম (৪৫) পিতা মোঃ মোখলেস মোড়ল। সর্ব সাং বেতাগ্রাম, থানা ডুমুরিয়া, জেলা খুলনাগন সহ এলাকার আরো অনেকে ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি শোনে এবং জানে। পরবর্তীতে আমার পরিবারের সদস্যগণ আমাকে স্থানীয় পর্যায়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়া সুস্থ করে। আমি সামান্য সুস্থ হয়ে আমার শাশুড়ী সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত শুনে বিবাদীদের নিকট হইতে আমার চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে আত্মীয়-স্বজনের সহিত আলাপ-আলোচনা করে থানায় নিয়ে সে অভিযোগ দায়ের করতে বিলম্ব হলো । বাদী মোছাঃ রাবেয়া বেগম আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন,অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত পুর্বক সঠিক বিচার চায় এবং লুট হওয়া মালামাল ফিরে পাওয়ার আশা করছি সেই সঙ্গে আইন গত ভাবে সঠিক বিচার চায়ছি।