শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
নিজস্ব সংবাদদাতা,ঝিনাইদহ:
বাবা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রয়াত প্রেসিডিয়াম সদস্য। দলের জন্য তার ত্যাগের কমতি ছিল না। আমৃত্যু কাজ করে গেছেন সাধারণ মানুষের জন্য। এবার বাবার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ ১ (শৈলকুপা) আসনে প্রার্থী হবার ঘোষণা দিয়েছেন তারই ছেলে। নাম তার পারভেজ জামান পান্না। তার বাবা আওয়ামী লীগের প্রয়াত প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান।তার প্রার্থী হওয়ার ঘোষণায় দীর্ঘদিনের অবহেলিত ও অশান্ত জনপদ শৈলকূপার সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। সাধারণ মানুষ ও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন পারভেজ জামানের হাত ধরে শৈলকুপা শান্তির জনপদে রুপ নিবে।গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ইঞ্জিনিয়ার পারভেজ জামান বলেন, আমি ঝিনাইদহ-১(শৈলকূপা) আসন থেকে নৌকার কাণ্ডারি হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছি। শৈলকূপাবাসীকে জানাতে চাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসনে মনোনয়ন চাইবো এবং তিনি নির্বাচন করার সুযোগ যদি দেন তাহলে নৌকাকে বিজয়ী করে শৈলকূপার জনমানুষের জন্য কাজ করবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছাতেই নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন জানিয়ে পারভেজ জামান বলেন, শৈলকূপার মানুষের জন্য আমার বাবা আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। উনি তার জীবনের সর্বোচ্চটুকু শৈলকূপার মানুষের জন্য নিবেদন করেছেন।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তুমি শৈলকূপায় যাও এবং শৈলকূপার মানুষের জন্য কাজ শুরু করো। দেখো শৈলকূপার মানুষ তোমাকে গ্রহণ করে কিনা। সেই জন্য আমি শৈলকূপায় কাজ শুরু করেছি। নিজের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, আমি ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম। মাঝে উচ্চ শিক্ষার জন্য আমি রাশিয়াতে ছিলাম। উচ্চ শিক্ষা শেষে আমি নিউজিল্যান্ডে ব্যবসা শুরু করি এবং সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুরু করি।বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। যেহেতু আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান এবং শৈলকূপার ছেলে, তাই আমার দাবির একটা জায়গা তো আছে।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইঞ্জিনিয়ার পারভেজ জামান বলেন, আমি শৈলকূপার আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে যদি ওতপ্রোতভাবে জড়িত নাও থেকে থাকি, তারপরও আমার একটা দাবির জায়গা আছে।অতীতে কী হয়েছে সেগুলো টেনে দীর্ঘায়িত করবো না। অনেক প্রার্থী, দুইটা গ্রুপ, তিনটা গ্রুপ, এসব নিয়ে আমি ভাবছি না। আমি চেষ্টা করবো সবাইকে একটা প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এসে সর্বজনীনভাবে কাজ করে নৌকাকে জয়যুক্ত করার। আমি যদি নৌকা না পাই, যিনি পাবেন তার জন্য আমি কাজ করবো। আর আমি পেলে চেষ্টা করবো সবাই যেন আমার জন্য কাজ করেন। মতবিনিময়কালে তিনি শৈলকূপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ২৫০শয্যায় উন্নতি। শহরকে আধুনিকায়ন ও কুমার নদ পুনঃখননসহ নানা উন্নয়নের পরিকল্পনা তুলে ধরেন।