admin
- ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ / ৯২ Time View
Reading Time: 2 minutes
হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ গাইবান্ধা :
গাইন্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ শ্রেণি হতে নবম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে বিতরণের সেই সরকারি পাঠ্য বই বিক্রি মামলার তদন্তে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাক্ষাৎকার, বইয়ের চাহিদা, প্রাপ্তি ও শিক্ষার্থীদের হাজিরা খাতা দেখলেন গাইবান্ধা ডিবি পুলিশ। সোমবার মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা ডিবি’র এস আই মামুনুর রশিদ সুন্দরগঞ্জ ডি ডব্লিউ সরকারি ডিগ্রী কলেজ হলরুমে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং কাগজপত্র দেখেন। এর আগে সোমবার সকালে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক সুন্দরগঞ্জ থানায় রাখা জব্দ করা সেই পাঠ্যবই সমূহ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে নিকট হস্তান্তর করেন মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের উপপরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার রোকসানা বেগম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল মমিন মন্ডল, একাডেমিক সুপারভাইজার বেলাল হোসেন প্রমূখ।
১৫ জানুয়ারী রোববার বই বিতরণের গোডাউন সুন্দরগঞ্জ ডি ডাব্লিউ সরকারি ডিগ্রী কলেজের হলরুম হতে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের সাড়ে এগারো হাজার বই হলুদ কালারের একটি পিকআপ ভ্যানে করে ঢাকা নেয়ার পথে সিরাজগঞ্জ জেলাধীন বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু পশ্চিম থানা পুলিশ সেটি জব্দ করে চালক শ্যামল মিয়া ও হেলপার রাসেল মিয়াকে আটক করে। পরে তাদের দেয়া তথ্য মোতাবেক বইগুলো সুন্দরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক মাজেদের নিকট হতে সংগ্রহ করেছে বলে জানায়। এরপর সুন্দরগঞ্জ থানাকে বিষয়টি অবহিত করালে ১৬ জানুয়ারী সোমবার রাতে মাজেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদে মাজেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। রাতেই বইয়ের গোডাউন তল্লাশি করে দেখা যায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই বিতরণের পর অবশিষ্ট ষষ্ঠ শ্রেণি হতে নবম শ্রেণির ১১ হাজার ৫০০ নতুন বই গোডাউনে নেই।
১৭ জানুয়ারী মঙ্গলবার রাতে সিরাজগঞ্জ জেলাধীন বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু পশ্চিম থানা পুলিশের নিকট হতে পিকআপ ভ্যানসহ জব্দকৃত বই ,চালক শ্যামল মিয়া ও হেলপার রাসেল মিয়াকে সুন্দরগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। ১৮ জানুয়ারী বুধবার তিনজন আসামিকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। ১৮ জানুয়ারী বুধবার রাতেই গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মো. কামাল হেসেন মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশকে দায়িত্ব দেন।
মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা গাইবান্ধা ডিবি পুলিশের এসআই মামুনুর রশিদ জানান, বইয়ের সঠিক হিসাব নিকাশ বের করার জন্য প্রতিষ্ঠা প্রধানদের সাথে মতবিনিময় এবং কাগজপত্র পর্যালোচনা করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামি জেল হাজতে রয়েছে। ইতিমধ্যে মামলার বাদী ও সেই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহমুদ হোসেন মন্ডলকে রংপুরের পীরগঞ্জে বদলী করা হয়েছে।