মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বগুড়ার শেরপুরে মাদক সম্রাট মোস্তাক বাহিনীর মাদক সেবনের ছবি তোলায় ক্যামেরা ভাংচুর ও প্রাণনাশের হুমকি \ থানায় এজাহার বগুড়ার শেরপুরে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় মাদক সম্রাট মোস্তাক বাহিনীর হাতে সাংবাদিক লাঞ্চিত। গত ২৩ মে (রবিবার) উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মাকরখোলা গ্রামে এ অকল্পনীয় ঘটনাটি ঘটেছে। উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ভাদাইসপাড়া (বাইস্ক)র মেলা থেকে ফেরার পথে মাকরখোলা পাকা রাস্তার মাথায় পৌছলে সাংবাদিক ভাই বলে দুই জন লোক ডাক দিলে মোটরসাইকেল দাড় করলে তারা বলেন ভাই রিপনের পরিত্যক্ত পিয়ারার বাগানে মাদক সম্রাট মোস্তাক আহম্মেদ এর কিশোর গ্যাংয়ের চার জন ছেলেরা গাঁজা সেবন করছে। এমন সংবাদ পেয়ে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায় যে সেখানে কিশোর গ্যাংয়ের ৪ জন গাঁজা সেবন করছে। গাঁজা সেবনকারী কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা হলো- উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের রাজবাড়ী গ্রামের আব্দুল গফুর এর ছেলে নূরনবী ইসলাম(১৫), খোরজান এর ছেলে ইসমাইল (১৬), নূরুল ইসলাম এর ছেলে মো: হোসেন (১৬), ও শাকিল। গাঁজা সেবনের ছবি তোলার সংবাদ পেয়ে মাদক সম্রাট মোস্তাক আহম্মেদ ও হাবিবুর রহমান তাদের বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অর্তকিত হামলা চালিয়ে সাংবাদিকদের লাঞ্চিত করে ক্যামেরা ভাংচুর ও সাংবাদিক রাকিবুল ইসলাম এর গলায় থাকা আটআনা স্বর্ণে চেন ছিনিয়ে নেয় ও সাংবাদিকদের গায়ে হাত তোলা সহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। এই ঘটনায় ভূক্তভোগী সকল সাংবাদিকগণের পক্ষে দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার বগুড়া জেলা প্রতিনিধি মোঃ রাকিবুল ইসলাম রাকিব বাদি হয়ে, মাকরখোলা গ্রামের মোঃ হায়দার আলীর ছেলে মাদক সম্রাট মোস্তাক আহম্মেদ (৪৫) ও তার ভাগনে বীরগ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলামের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ হাবিবুর রহমান (৩৫) সহ অজ্ঞতনামা আরও ৮-১০ জনকে আসামী করে শেরপুর থানায় এজাহার দ্বায়ের করেন। এ ঘটনার বিষয়ে জানতে বাদি সাংবাদিক রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক পুনরুত্থান প্রত্রিকার বগুড়া জেলা প্রতিনিধি মোঃ সারোয়ার জাহান, দৈনিক বর্তমান কথা পত্রিকার বগুড়া জেলা প্রতিনিধি মোঃ মশিউর রহমান মিলন, দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি ছোলাইমান আলী বাবু, বিজয় টেলিভিশনের ক্যামেরা পার্সন নজরুল ইসলাম সুমন, এশিয়ান টেলিভিশনের ক্যামেরা পার্সন মামুনুর রশিদ মামুন, জাহান আইপি টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মেহেদী হাসান ও দৈনিক দেশ সেবা পত্রিকার শেরপুর উপজেলা প্রতিনিধি মিলন ইসলাম তারা সবাই উত্তরবঙ্গ সাংবাদিক সংস্থার সদস্য।পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় মাদ্রক সম্রাট মোস্তাক আহম্মেদ ও হাবিবুর রহমান এর বাহিনী সাংবাদিকদের আক্রমন করে। সাংবাদিকদের আক্রমনের বিষয়টি শেরপুর থানার ওসিকে মোবাইলে জানালে তাৎক্ষনিক শেরপুর থানার তদন্ত (ওসি) আবুল কালাম আজাদ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে দ্রত ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। এসময় মাদক সম্রাট মোস্তাক আহম্মেদ ও হাবিবুর রহমান বাহিনীসহ পালিয়ে যায়। এবিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মাদকের বিষয়ে সাংবাদিকরা আমাকে ফোন করে অবগত করলে। আমি তাৎক্ষনিক ওসি তদন্তসহ জরুরী পুলিশ টিম পাঠিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কিশোর গ্যাংয়ের ৪ জন গাঁজা সেবনকারীকে আটক করে। তাদেরকে মাদক মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এবং সাংবাদিকদের লাঞ্চিত করার বিষয়ে থানায় একটি লিখিত এজাহার পেয়েছি,তা তদন্তপূর্ব আইননত প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।