মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫২ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
মোঃ হেলাল উদ্দিন সরকার, ধুনট বগুড়া:
ত্রিশ সেপ্টেম্বর সকাল। ধুনট সরকারি ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন হেলিপ্যাড। কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন। চারিদিকে প্লাস্টিক পোড়ানো পঁচা দুর্গন্ধ। অনেক সাধারণ মানুষের সমাগম। চাপা একটা উত্তেজনা, গম্ভীর সবাই – কি যেনো ঘটে গেছে। রাস্তার কার্পেটিং কাজে নিয়োজিত বিটুমিন পাথর মেশানো মিক্সচার মেশিন চলছে, ইটভাটার মতন চুঙি দিয়ে বিষাক্ত ধোঁয়া ছেড়ে। বিটুমিন গলানোর জন্য আগুনের ইন্ধন যোগাচ্ছেন পচা স্যান্ডেল, প্লাস্টিক, ছেঁড়া কাঁথা, কাপড়। বোঝা গেলো পঁচা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এই আগুন জ্বালাতে প্লাস্টিকের জিনিস পত্র থেকেই। মেশিন চলতে থাকায় শব্দদুষনে কথা বলতে হচ্ছে চেচিয়ে। কালো ধোঁয়ার ছাই বাতাসে উড়ে যাচ্ছে কলেজের জানালা দিয়ে শ্রেনীকক্ষে। ছাই আর বিকট শব্দের কারনে শ্রেনীকক্ষের জানালা বন্ধ করে শিক্ষক ছাত্রছাত্রীরা কোনো রকমে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের ক্লাস। আশপাশের বাসাবাড়ি থেকে আগত সাধারণ জনগন একে অপরের সাথে কথা বলছেন, কেনো আবাসিক এলাকায় এধরণের কাজ। একাজতো কোনো ফাঁকা জায়গায় করা উচিত। করোনার আতংকে এমনিতেই জনজীবন পর্যুদস্ত, তারউপর বিষাক্ত ধোঁয়া, মেশিনের শব্দে জীবন যেন ঝুঁকির মুখে। ঠিকাদারকে অভিযোগ করেও হচ্ছে না গতি। বিশিষ্ট সমাজসেবীদেরকে অভিযোগ করে “দেখছি” ছাড়া এলোনা কোনো সমাধান। কলেজের অধ্যক্ষ সাহেব সবে কলেজে যোগদান করেছেন, তিনিও বুঝে উঠতে পারছেন না কি করবেন। শুধু দুঃখ প্রকাশ করলেন। দুএকটা জাতীয় পত্রিকা সহ কয়েকটি নিউজপোর্টালে খবরটি প্রকাশিত হলো। খবর চলে গেলো ধুনট উপজেলার বিচক্ষণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সন্জয় কুমার মহন্ত এর বরাবর। বিষয়টি তিনি সাথেসাথে আমলে নিয়ে চলে এলেন ঘটনাস্থলে। বন্ধ করলেন মিক্সচার মেশিন। চারিদিকে ফিরে এলো স্বাভাবিক প্রানের স্পন্দন। আনন্দে উদ্ভাসিত হলো সকলেই, অস্বস্তি থেকে ফিরে এলো স্বস্তির জীবন।