বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৪ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
শারমীন সুলতানা মিতু (সিনিয়র রিপোর্টার):
রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্হিত বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল(বিএসএইচ) এর চিকিৎসক ডা: মো সামসুল আরফিন এর বিরুদ্ধে অপচিকিৎসার অভিযোগ তুলেছে দীর্ঘ ৫ বছরে তার অধীনে চিকিৎসাধীন থাকা রোগী মেহবিশ জাহান ও তার পরিবার।
রাজধানীর ইন্দিরা রোডে বসবাসকারী শেখ জসিম(স্বনাম ধন্য সংগীত শিল্পী ও সংগীত পরিচালক) এর মেয়ে মেহবিশ জাহান পেট ব্যথায় আক্রান্ত হয়ে ২০১৭ সালে বর্তমান বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের গ্যাস্ট্টোএন্টোরোলজি এবং হেপাটোলজি বিভাগের চিকিৎসক প্রফেসর ডা:মো: সামছুল আরফিন এর স্বরনাপন্ন হন (তখন তিনি ছিলেন স্কয়ার হাসপাতালে)। তিনি তখন বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা করে রোগিকে হাসপাতালে ভর্তি সহ মেডিসিন চিকিৎসা প্রদান করেন এবং তার চিকিৎসা পত্র অনুযায়ী দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর এভাবেই চলতে থাকে। সম্প্রতি মেহবিশ জাহানের পেটের ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসক পুনরায় তাকে সকল প্রকার পরীক্ষা নিরিক্ষা করেন এবং তা পর্যালোচনা করে জানায় যে রোগীর পেটে অগ্নাশয়ে একটি সিষ্ট আছে যা এন্ড্রোসকপি মাধ্যমে অপারেশন করা হবে এ জন্য ৭০ হাজার টাকা দাবী করেন। রোগীর অভিভাবক এতে সম্মতি প্রদান করলে গত ৯ আগষ্ট অপারেশন করার পূর্ব নির্ধারিত সময়ে রোগীকে অপারেশন করার লক্ষ্যে অপারেশন থিয়েটারে না নিয়ে এন্ড্রোসকপি ইউনিটে নিয়ে যায় এবং ৩০ মিনিটের অপারেশন যখন প্রায় দুই ঘন্টা অতিবাহিত হলেও শেষ হয়নি,তখন রোগীর আত্নীয়রা বিচলিত হয়ে চিকিৎসককে খুঁজতে থাকেন ও রোগীর অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান।তখন চিকিৎসক সামসুল আরফিন জানান রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন আইসিইউ-তে নিতে হবে। রোগীর রক্তক্ষরন হচ্ছে। বিষয়টি সার্জন ইমরুল হাসান খান-এর গোচরীভূত হলে তিনি জানান অপারেশনের সময় রোগীর একটি আটারি(রক্তনালী/ধমনি) কেটে গেছে যা পুনরায় লাগানো হয়নি।যার ফলে রোগীর অবস্হা আশংকাজনক, তাকে পুনরায় ওটিতে নিয়ে দ্রুত ওপেন করে অপারেশন করতে হবে।ডঃ ইমরুল হাসান আরো বলেন যে বর্তমানে রোগীর বি,পি(রক্তচাপ)৫ – এই রোগীর বেঁচে থাকার সুযোগ মাত্র ১%।তখন রোগীর আত্নীয়ের সম্মতিতে সার্জন ডা: ইমরুল হাসান খান- রোগীকে ওপেন অপারেশন করে নার্ভ(রক্তনালী) জোড়া লাগিয়ে আইসিইউ তে স্হানান্তর করেন।৬ দিন সেখানে থাকার পর চিকিৎসা ব্যয় বাবদ প্রায় ৪.৫৭ লক্ষ টাকার বিল ধরিয়ে দিয়ে রীতিমতো রোগীর আত্নীয়দের বাধ্য করা হয়ে উক্ত টাকা পরিশোধে।রোগীর নিরাপত্তা বিবেচনায় প্রদেয় বিলের অর্থ পরিশোধ করে রোগীর ছাড়পত্র নেন এবং বর্তমানে বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই অপচিকিৎসার জন্য রোগীকে আগামী ছয় মাসের আগে কোন অপারেশন করা যাবেনা ! এই দায়ভার তাহলে কার ?
মেহবিশ জাহান-এর বাবা শেখ জসিম প্রতিবেদক কে জানান ডা: মো: সামছুল আরফিন সার্জন না হয়ে তিনি অর্থের লোভে তার টিমে কোন সার্জন রাখেননি। নিজেই অপারেশন করে মেয়েকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেন এবং ৪.১৭ লক্ষ টাকা আদায় করে ও কোন সহমর্মিতা না দেখিয়ে খারাপ আচরন করেন । যা সেবার পরিবর্তে হাসপাতালটিকে কসাই খানায় রুপান্তরিত করেছে। কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেও কোন সুফল মেলেনি। তিনি চিকিৎসক সহ এই প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন,এবং সর্বোচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
এ বিষয়ে ডাঃ সামছুল আরেফিন এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের জন্য ফোন দিলে তার চেম্বারের সহকারী বলেন স্যার ব্যস্ত আছেন। আপনার সাথে তিনি কথা বলবেন না।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং এই বিষয়ে কেউ কথা বলতে রাজি না বলে জানান।