শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৭ অপরাহ্ন

News Headline :
ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের মাটি সরে গিয়ে দূর্ভোগে জনগণের সেবা দেওয়ার জন্যই সরকার আমাকে পাঠিয়েছেঃ-নওগাঁর নবাগত ডিসি রাজশাহীতে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে শুটার রুবেল পাবনায় সাংবাদিকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় করলেন নবাগত জেলা প্রশাসক মধুপুরে বৈষম্যবিরোধী ও কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে  বিএনপির দোয়া  মাহফিল অনুষ্ঠিত  পাবনার হেমায়েতপুরে কারামুক্ত বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংবর্ধনা ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন বাঘাইছড়িতে বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার ডোমারে সীরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল অনুষ্ঠিত পাবনার সুজানগরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পথসভা অনুষ্ঠিত

বারহাট্টা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢুকার রাস্তার বেহাল দশা, দুর্ভোগ পোহাচ্ছে রোগীরা

Reading Time: 2 minutes

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা :
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢুকার প্রধান রাস্তাটির বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যাতায়াতের সম্পুর্ন অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে সেবা নিতে আসা রোগী সহ সাধারণ জনগণ। বারহাট্টা প্রেসক্লাবের সামনে থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢুকার প্রধান পর্যন্ত রাস্তাটির দৈর্ঘ্য (৫৮ মিটার)। তবে আপাতদৃষ্টিতে রাস্তাটি বর্তমানে এখন আর রাস্তা বলে মনে হয় না। মনে হয় ভরাট কোন খাল। হাসপাতালকে কেন্দ্র করে রাস্তাটির দুইপাশে গড়ে ওঠা ঔষধের দোকান, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা রাস্তার দুইপাশে তাদের নিজ নিজ জায়গায় উঁচু করে ভবন নির্মাণ করেছেন। ফলে দু’পাশে গড়ে ওঠা ভবনগুলোর ভিটের তুলনায় রাস্তার অবস্থান অনেকটাই নিচে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি মেরামত না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে রাস্তাটির একটি অংশে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তগুলো ভরাট করতে সলিংয়ের উঁচু-নিচু ইটের খোয়া ব্যবহার করাতে আরও বেশি দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তাটির ব্যবহারকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই হাসপাতালের রোগী। কিন্তু দুঃখের বিষয় হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই ৫৮ মিটার সড়কের কোন ধরনের উন্নয়ন বা সংস্কার কোনটাই হয়নি। রাস্তাটির বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় প্রচন্ড ঝাঁকুনিতে যে কোন যানবাহনে চড়ে আসা রোগীদের দুর্ভোগের সীমা থাকেনা। এলাকাবাসী সূত্র জানা গেছে, বারহাট্টা উপজেলা প্রশাসনের মূল সড়কের পাশে বারহাট্টা প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত সড়কটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিজস্ব জায়গা। প্রতিষ্ঠার সময় হাসপাতালটি ৩১ শয্যা বিশিষ্ট ছিল। (১৯৮৪-৮৫) অর্থ বছরে সড়কটিতে ইটের সলিং ও দুইপাশে আরসিসি খুঁটি পুঁতে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়। চলতি বছর এটিকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে।
স্থানীয় এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্বাধীকারী আব্দুল আওয়াল বলেন, হাসপাতালে প্রবেশের মূল রাস্তার এমন বেহাল অবস্থা দীর্ঘদিনের। মাঝে মাঝে আমরা স্থানীয়রা ইট, বালু দিয়ে সড়কের গর্ত ভরাট করলেও এতে তেমন কাজ হয় না। হাসপাতালে ঢুকার প্রধান রাস্তার পাশে অবস্থিত একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক সাবেক মুক্তিযোদ্ধা ডিএডি মো. নূর উদ্দিন বলেন, হাসপাতালের এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অনেক রোগী যাতায়ত করেন। রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে জটিল রোগীদের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়। হাসপাতালের মূল গেইটের সামনের অংশ খুবই বিপজ্জনক। রোগী নিয়ে আসা যানবাহন ভাঙা রাস্তায় নেমে বিপদে পড়ে যায়। স্থানীয়দের সহায়তায় কোনরকমে উদ্ধার পায়। সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে রোগী-ব্যবসায়ী সকলেই দুর্ভোগে আছি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। রাস্তার দুরাবস্থার কারণে তাদের খুবই কষ্ট হয়। জটিল রোগীদের বেশী সমস্যা পোহাতে হয়। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) অমিত চন্দ্র দে বলেন, রাস্তাটির কোড নম্বর না থাকায় উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা যাচ্ছে না। আশা করছি ঈদের পরপরই এ সংক্রান্ত একটি ফাইল অনুমোদন হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com