বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
রাজশাহী মহানগরীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে বাড়িতে ঢুকে স্কুল ছাত্রীকে চুল ধরে টেনে হিচড়ে রাস্তায় নিয়ে পিটিয়েছেন স্থানীয় নেতা ও স্ত্রী ও দুই কন্যা। এতে একই পরিবারে মা ও এসএসসি পরিক্ষার্থী বর্ষা খাতুন (১৭) গুরুতর আহত হয়েছেন।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার রামচন্দ্রপুর পদ্মা পাড়ের বসতীতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহতরা হলেন: ওই এলাকার মোঃ মুকুল আলীর স্ত্রী জরিনা বেগম (৪২), তার মেয়ে বর্ষা খাতুন। সে খাদেমুল ইসলাম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
সরেজমিনে গিয়ে একাধিক স্থানীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নেতা মোহিদুল ইসলামের সাথে এলাকার লোকজন তেমন একটা সম্পর্ক রাখেন না। তার দাম্ভিকতা হলো সে বামপন্থি দলের একজন নেতা। আর বর্ষাকে বার বার আঘাতের বিষয়টি অমানবিক বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
বর্ষার খালা রোজিনা জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে (২৯ সেপ্টম্বর ২০২১) একই এলাকার প্রতিপক্ষ মোহিদুল ইসলাম তার মেয়ে মনিকা ও তার স্ত্রী নাজমা বর্ষাকে হাতুড়ি দিয়ে মাথাসহ পুরো শরীরে এলোপাথাড়ী ভাবে মারপিট করে। এ ঘটনায় বর্ষা খাতুন দির্ঘদিন রামেকে ভর্তি থেকে চিকিৎসা গ্রহণ শেষে প্রতিপক্ষের ৩জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহা চলমান। কিন্তু সেই হাতুড়ির আঘাতের পর থেকে বর্ষা মাথায় সমস্য নিয়ে ভুগছেন। মাথা যন্ত্রণা নিয়ে প্রায়ই তাকে বিছনায় পড়ে থাকতে হয়।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার (১০ জুন) দুপুর ১২টার দিকে মোহিদুলের মেয়ে মনিকা বাড়িতে এসে বর্ষাকে মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বর্ষা তাকে গালি দেয়। একপর্যায়ে মনিকার মা ও বাবা বাড়িতে প্রবেশ করে মাথার চুল ধরে ব্যাপক মারপিট করে বর্ষাকে। শুধু তাই নয় তারা চুল ধরেই বর্ষাকে টেনে হিচড়ে রাস্তা দিয়ে নিয়ে যায় এবং ব্যপক মারপিট করে প্রতিবেশী মেরি নামের এক মহিলার বাড়ির একটি ঘরে ঢুকিয়ে দরজায় তালা লাগিয়ে রাখে। ওই সময় স্থানীয়রা ৯৯৯-এ কল দিলে, পুলিশ গিয়ে বর্ষা ও তার মা জরিনাকে উদ্ধার করে। ততক্ষনে বর্ষা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
বর্ষার মা জরিনা বলেন, মেয়ের চিৎকারে আমি দৌঁড়ে তাকে বাঁচাতে গেলে তারা আমার পিটে কাঠ ও ইট দ্বারা আঘাত করে। এ সময় আমার বোন রোজিনা সাহায্য করতে এগিয়ে আসলে তার শরিরের কাপড় ছিড়ে বিবস্ত্র করে মারধর করে। বর্তমানে বর্ষা খাতুন রামেকের ৫০ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যপারে শুক্রবার দুপুরে বর্ষার মা জরিনা বেগম বাদী হয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শনিবার জানতে চাইলে বোয়লিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাজহারুল ইসলাম জানান, বর্ষা খাতুনকে মারপিটের ঘটনায় আজ এজাহার দায়ের করা হবে।