রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, বিএনপির নেতারা ঘরে বসে আন্দোলনের ডাক দিয়ে আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করতে চায়। সেজন্য ২০১৪/১৫ সালের মতো আগুন সন্ত্রাস করছে। যারা আওয়ামী লীগকে ভয় দেখিয়ে ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে চায়, তারা অতীতে ব্যর্থ হয়েছে, এবারো তারা ব্যর্থ হবে। সেই লক্ষণ আমরা দেখতে পাচ্ছি। বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং তারা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।
বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বরে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশ শেষে জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে সেখান থেকে শান্তি মিছিল বের হয়। শান্তি মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কুমারপাড়াস্থ মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের নির্বাচন হবে। আমাদের দেশের নির্বাচন কীভাবে হবে সেটি ঠিক করবে দেশের জনগণ, আদালত, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন। আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হবেই, নির্বাচন কেউ ঠেকাতে পারবে না। উৎসমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মানুষ দলে দলে এসে ভোট দেবে। তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ্য, তারেক জিয়া লন্ডনে বসে থেকে যে ফরমান জারি করেন, সেই ফরমান অনুযায়ী দেশ চলবে, তাদের দল চলবে, তার মতো মূর্খ এটি ভাবতে পারে। কিন্তু এটি কখনোই হতে পারে না। আমরা লক্ষ্য করছি তার দল থেকে দঁড়ি ছিড়ে এক এক করে এসে সব কেউ স্বতন্ত্র, কেউ তৃণমূল বিএনপি, কেউ বিএনএফ ইত্যাদি ব্যানারে যোগ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
মেয়র লিটন বলেন, হরতার-অবরোধ ডাকে বিএনপি-জামায়াত চক্র, আর জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য রাজপথে অবস্থান নিতে হয় বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, শেখ হাসিনার সৈনিক আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে। দিনের পর দিন রাজপথ, রেলপথ সহ নানা জায়গায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যারা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে অচল করে দিতে চায়, যারা দেশের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তারা কি বাংলাদেশের পক্ষের মানুষ হতে পারে? তারা কি জনগণের, গণতন্ত্রের, উন্নয়নের পক্ষের মানুষ হতে পারে? নিশ্চয় নয়।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহ্সানুল হক পিন্টু, সদস্য আতিকুর রহমান কালু, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, নগর শ্রমিক লীগ সভাপতি মাহাবুবুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন।