শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) বাবুর্চি পদে কর্মরত বিকাশ প্রতারনার স্বীকার হয়েছিলেন। বেতন কম হলেও ২ সন্তান, স্বামী নিয়ে ভাড়াবাসায় থেকেও তার তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করছিলেন।এরাই মধ্যে গত (২৭ আগস্ট) হঠাৎ করে বিকাশ প্রতারকের খপ্পরে পড়েন বাবুর্চি। এতে চরম বিপাকে পড়েন ভুক্তভোগী। সংসারে নেমে আসে অশান্তি। কোন প্রতিকার না পেয়ে মহানগরীর মতিহার থানায় গিয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন ভুক্তভোগী। এ সময় মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার আলী তুহিন তার কান্নার কারন জানতে চান। ভুক্তভোগী ঘটে যাওয়া ঘটনার বিবরণ তুলে ধরেন। তার দেয়া বর্ণনা শুনে মতিহার থানার ওসি ভুক্তভোগীকে টাকা উদ্ধার করে দিবেন বলে আস্বস্ত করেন। এরপর মতিহার থানার উদ্যোগে টাকা উদ্ধার অভিযানে নামে পুলিশ। আর এম পি সাইবার ক্রাইম ইউনিটের প্রযুক্তিগত সহায়তায় বিকাশ প্রতারক চক্রের সন্ধানে মাঠে কাজ শুরু করে মতিহার থানার একটি টিম। দীর্ঘদিন কঠোর পরিশ্রম আর অব্যাহত চেষ্টায় সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয় পুলিশ। উদ্ধার করা হয় ১০দশ হাজার টাকা। অপ্রত্যাশিত এই টাকা উদ্ধার করেন মতিহার থানার এএসআই মোঃ মকিবুর রহমান। বুধবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সংবাদ দেয়া হয় ভুক্তভোগীকে। সংবাদ পেয়ে স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে থানায় হাজির হন তারা। এ সময় বিকাশ প্রতারকের কাছ থেকে উদ্ধার করা ১০ হাজার টাকা তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়। টাকা পেয়ে তারা সকলেই অনেক খুশি। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেন মতিহার থানার ওসি ও সকল পুলিশ সদস্যদের প্রতি। সেই সাথে এএসআই মকিবুর রহমান সহ টিমের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে টাকা উদ্ধার হয়েছে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ভুত্তভোগী। তারা বলেন, পুলিশ আছে বলেই এখনো মানুষ শান্তিতে আছে। শান্তিতে ঘুমাচ্ছে। মতিহার থানা পুলিশ এভাবেই জনগণের পাশে থেকে কাজ করে যাবে এবং মানুষের কাঙ্খিত প্রত্যাশা ও নিরাপত্তা পুরুন করে যাবে। সেই সাথে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক মহাদয়কে। তারই পরিশ্রমের ফসল সাইবার ক্রাইম ইউনিট। আরও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আর এম পি সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এসি উৎপল কুমার ও সহকর্মীদের। যারা প্রযুক্তিগত সহায়তায় অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। প্রতিনিয়ত মানুষের কাঙ্খিত সেবা প্রদান করছেন।