শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০১ পূর্বাহ্ন

News Headline :
ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের মাটি সরে গিয়ে দূর্ভোগে জনগণের সেবা দেওয়ার জন্যই সরকার আমাকে পাঠিয়েছেঃ-নওগাঁর নবাগত ডিসি রাজশাহীতে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে শুটার রুবেল পাবনায় সাংবাদিকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় করলেন নবাগত জেলা প্রশাসক মধুপুরে বৈষম্যবিরোধী ও কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে  বিএনপির দোয়া  মাহফিল অনুষ্ঠিত  পাবনার হেমায়েতপুরে কারামুক্ত বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংবর্ধনা ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন বাঘাইছড়িতে বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার ডোমারে সীরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল অনুষ্ঠিত পাবনার সুজানগরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পথসভা অনুষ্ঠিত

বিপৎসীমা ছুঁয়েছে তিস্তার পানি ৩৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি

Reading Time: < 1 minute

হারুন উর রশিদ সোহেল, রংপুর ব্যুরো:
ভারী বর্ষণ এবং উজানের ঢলে তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে সকাল ৯টায় তা বেড়ে বিপৎসীমা ছুঁয়েছে। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার।
এদিকে নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় রংপুরের গঙ্গাচড়ার ছয় ইউনিয়ন, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার নদী তীরের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫০ গ্রামের ৩৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। কোনও এলাকা দুই থেকে আড়াই ফুট, আবার কোনও এলাকা আরও বেশি পানিতে ডুবেছে। এতে অনেক পরিবার বাড়ি-ঘর ছেড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তিস্তার পানি বাড়ায় ল²ীটারি, কোলকোন্দ, মর্নেয়া নোহালী ও আলমবিদিতর ইউনিয়নের ৩০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মহিপুর ল²ীটারি ইউনিয়নের। এ ইউনিয়নের বিনার চর, শংকরদাহসহ বেশ কয়েকটি দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
এদিকে জেলার কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ,বালাপাড়া,টেপামধুপুর ইউনিয়ন ও পীরগাছা উপজেলার ছাওলা, তাম্বুলপুর ইউনিয়নের প্রায় ২০ গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে তিস্তা নদীর পানি বাড়ার কারণে চরাঞ্চলের বাদাম, মিষ্টি কুমড়া, ভুট্টুাসহ উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ল²ীটারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল হাদী বলেন, অসময়ে তিস্তা নদীর পানি বাড়ায় ইউনিয়নের অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া বাদামসহ বেশ কিছু ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এরশাদ উদ্দিন বলেন, পানি বেড়ে যাওয়ায় নদী তীরবর্তী ও দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষকে সতর্ক থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভ্ন্নি এলাকায় সহায়তা পৌঁছাতে কাজ চলছে। রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব জানান, বৃষ্টিপাত এবং উজানের ঢলের কারণে তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি হচ্ছে। ‘এই পূর্বাভাস আমরা দুই সপ্তাহ থেকে সংশ্লিষ্টদের জানাচ্ছি। যাতে নদী অববাহিকার লোকজন নিরাপদে অবস্থান নিতে পারেন। গবাদিপশুসহ অন্যান্য জিনিস সরিয়ে নিতে পারেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com