শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
শম্পা দাস ও সমরেশ রায়, কলকাতা থেকে :
গত মঙ্গলবার ২মে স্প্লানেড ৫ নম্বর মেট্রো গেটের সামনে ও ড্যরিনা ক্রসিং এর সংযোগস্থলে। ভোট পরবর্তী হিংসার দুবছর, শহীদ শ্রদ্ধাঞ্জলি পালন করলেন, এবং বিকেল পাঁচটায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গঙ্গার ঘাটে ব্রাহ্মণ সহযোগে দর্পণ করলেন তাদের আত্মার প্রতি, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন শহীদদের পরিবার এবং বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বিধায়ক ও সংসদরা এবং ভারতীয় জনতা পার্টির সকল সদস্যরা, উপস্থিত ছিলেন, শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, অগ্নিমিত্রা পল, সজল ঘোষ এডভোকেট প্রিয়াঙ্কা টিবটোরিয়াল সহ অন্যান্য নেতা নেতৃবৃন্দ, তারা সকলে একে একে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন এবং শহীদের পরিবারের হাতে কিছু উপহার তুলে দেন, তারা সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার মধ্য দিয়ে বলেন, যাহারা আমাদের পরিবার-পরিজনকে খুন করেছে তাদের শাস্তি চাই।, যে সকল পরিবার-পরিজনেরা এসেছিলেন তাদের মধ্যে কারো ছেলে খুন হয়েছেন কারো বাবা বা কারো আত্মীয়-স্বজন, তাদের দোষ তারা বিজেপি করতেন বলে তাদেরকে মেরে ফেলা হয়েছে বিভিন্নভাবে, কিন্তু আজকের এই শোভা থেকে প্রতিজ্ঞা করলেন ও গর্জে উঠলেন এইভাবে বেশি দিন পশ্চিমবঙ্গে রাজত্ব করা যাবে না, এবার যদি কারো গায়ে হাত তুলে তাহলে আমরা বুঝিয়ে দেবো কি হতে পারে, সামনে পঞ্চায়েত ভোট, আর এই ভোটকে মাথায় রেখেই আজকের এই শ্রদ্ধাঞ্জলি ও তর্পণ, ৪:৩০ টায় এই সভা শেষ হওয়ার পর মিছিল করে তারা বাবুঘাটে দিকে রওনা দেন এবং সেখানে পুরোহিতের মন্ত্র যোগে এবং পরিবারের কয়েকজনকে নিয়ে তর্পনে বসেন। সবকিছু নিয়ম মেনেই এই তর্পনের কর্মসূচি চলে এই তর্পনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ সুকান্ত মজুমদার শুভেন্দু অধিকারী সহ শহীদ পরিবারের লোকজন, এখান থেকেই শুরু হলো তাদের যাত্রা এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাও, শুধু তাই নয় তারা জানালেন আমরা একদিন শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালন করে লোক দেখাতে চাই না। আমরা সেই সকল পরিবারের পাশে আছি, থাকব এবং তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব যে কোন বিষয়ে ও প্রয়োজনে, যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেস নিরীহ মানুষের উপরে অত্যাচার করে চলেছে দুর্নীতিতে ভরিয়ে ফেলেছে তাদের ঠাই আর বেশি দিন নাই, এই পশ্চিমবাংলা একদিন বিজেপি সরকার আসবে এটা স্পষ্ট, যে পশ্চিমবাংলায় মানুষ বিভিন্নভাবে প্রতারিত হচ্ছে সেই পশ্চিমবাংলার কথা ভাবে কেন্দ্রীয় সরকার ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আর তাই আজ নিরীহ শহীদদের পরিবারের পাশে আমরা রয়েছি।