শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৮ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুরাষ্ট্র। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের বহুমাত্রিক অবদানের কথা ইতিহাসের অংশ হয়ে আছে। তারা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বার্থহীনভাবে সহযোগিতা করেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের এই অকৃত্রিম বন্ধুত্ব সারাজীবন অটুট থাকবে। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে রাজশাহীর একটি হোটেলে ‘ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সেলিব্রেশন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে তখন যারা বিরোধিতা করেছিল, তাদের প্রেতাত্মা স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো চক্রান্ত করে যাচ্ছে। তাদের ষড়যন্ত্র চলছে। হয়তো বা চলতেই থাকবে। আমাদের সজাগ থেকে এদের মোকাবিলা করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের এখনো মনে আছে, ভারত সরকারের নির্দেশে তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গ সরকার কীভাবে পাশে দাঁড়িয়েছিল। যেটা অকল্পনীয় ও অতুলনীয় ছিল। অথচ ১৯৭৫ সালের পরে ভারতের কথাটা মুখে তুললেই একরকম দোষী সাব্যস্ত করা হতো। মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকারের অবদান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের পরপরই বঙ্গবন্ধু ভারতের সেনা সদস্যদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে বলেছিলেন। অথচ যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে যে দেশ স্বাধীন হয়, এত সহজে তারা সেনা তুলে নিয়ে যায় না। কিন্তু ভারত সরকার বঙ্গবন্ধুর আহবানে সেনা প্রত্যাহার করেছিল। আমি তো মনে করি, এই সেনা প্রত্যাহারের ফলেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার সুযোগ পেয়েছিল স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুদেশের সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে, ভবিষ্যতে সম্পর্কের ভিত্তি আরও মজবুত হবে বলেও মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। এসময় তিনি ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা দূর করে দুই দেশের জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি, সংস্কৃতির বিনিময় ও বাণিজ্য ভারসাম্য আনার আহবান জানান। রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার বলেন, প্রতিটি ভালো কাজে ভারত বাংলাদেশকে সঙ্গে রাখে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে থেকে স্বাধীনতা অর্জনে সাহায্য করেছে ভারতের জনগণ। দুই দেশের মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতির মিল রয়েছে, যা দুই দেশের সম্পর্ককে করেছে মজবুত ও শক্তিশালী।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, বিশিষ্ট সমাজসেবিকা শাহিনা আক্তার রেনী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী বক্তব্য দেন। পরে খাদ্যমন্ত্রী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরিবেশিত মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।