শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
ভুরুঙ্গামারীতে সোনাহাট সেতুর গাইড বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম
নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের-ভুরুঙ্গামারীতে সোনাহাট সেতুর গাইড বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন দুধকুমার নদী থেকে বালু তুলে ৩১৪ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুর ডান তীর নির্মাণ করা হচ্ছে। এবারে বর্ষায় বড় ধরনের বন্যা হলে বালুর বাঁধটি দুধকুমার নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা স্থানীয়দের।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দুধকুমার নদীর উপরে একনেকে ২০১৯ সালে ২৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৪৫ মিটার পিসি গার্ডার সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। অপরদিকে সোনাহাট সেতুর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় সেতুর উভয় পাশে ৮১৪ মিটার সেতুরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করছে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেতুর পশ্চিম ডান তীরে ৩১৪ মিটার বাঁধ নির্মাণ করছে এম এ এন্টারপ্রাইজ মজিদ সন্স কনট্রাস্টাশন লিমিটেড নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদার বিপ্লব কুমার গুন বাবু ও মান্নান জোয়ারদার এর ম্যানেজার ফজলুল হক স্থানীয় প্রভাবশালী সাব ঠিকাদারের মাধ্যমে দুটি অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের বেড়াজালে সেতুরক্ষা বাঁধের কাজ করছেন।
উল্লেখ্য, বাঁধের টপ ৬ মিটার, স্লোপ ২০ মিটার এবং লাঞ্চিং অ্যাপ্রন ২৮ মিটারের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ৯৩ হাজার ৮৩১ টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শাহজাহান আলী সোহাগকে সাব-কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে সেতুরক্ষা বাঁধ থেকে ১ শত গজ এবং পুরনো সেতুর পিলারের কাছ থেকে দুটি অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে সেতুরক্ষা বাঁধের কাজ করছেন।
ড্রেজার মালিক গোলাপ উদ্দিন বলেন, শাহজাহান আলী সোহাগের নির্দেশে বালু উত্তোলন করছি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সোনাহাট সেতুর গাইড বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম করছেন। দুধকুমার নদী থেকে বালু তুলে নির্মাণ করা হচ্ছে সেতুরক্ষা বাঁধ। এবারে বর্ষায় বড় ধরনের বন্যা হলে বালুর বাঁধটি দুধকুমার নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প ম্যানেজার ফজলুল হক জানান, তার সাইট থেকে বালু উত্তোলন করছে একটি মহল। এতে বাঁধ নির্মাণে অনেক হুমকির সম্মুখীন হচ্ছি।
ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পাইকেরছড়া ইউনিয়নের তহশিলদারে মাধ্যমে তথ্য নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, সবখানেই কিছু সাব ঠিকাদার থাকে মুলত তারাই কাজ করে। আমরা এ বিষয়ে সমন্বয় মিটিংয়ে ডিসি মহোদয়ের সাথে আলোচনা করেছি। বিষয়গুলো দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।