শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা।
পাবনা আমিনপুর থানার মাসুমদিয়া ইউনিয়নের কাজিপাড়া জামে মসজিদের ওয়াকফকৃত সম্পর্ত্তি ভুয়া মোতওয়াল্লি সেজে বিক্রি করার চেষ্টার প্রতিবাদে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। গত সোমবার সন্ধায় মাসুমদিয়া কাজিপাড়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কাজি পাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, মাসুমদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল হক, ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ড মেম্বার আমিন সরদার, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ শাজাহান আলী খান। প্রতিবাদ সমাবেশ পরিচালনা করেন, মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন চৌধুরী।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ি পৌর এলাকার ঈদগাহ রোডের বাসিন্দা মৃত কাজি ইসমাইল হোসেনের ছেলে কাজি আনু মোঃ মাসুদ কিভাবে পাবনার অজোপাড়াগায়ে ওয়াকফ এস্টেটের মোতওয়াল্লি হয়। যেখানে এসএ রেকর্ড ও আরএস রেকর্ডে উল্লেখ আছে মসজিদের ওয়াকফকৃত সম্পর্ত্তি মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক যিনি হবেন, তিনিই সকল সম্পর্ত্তি দেখাশোনা করবেন এবং সেখান থেকে আয়কৃত অর্থ মসজিদ কমিটির অনুকুুলে জমা দিবেন। মসজিদ পরিচালনা কমিটি সেই টাকা মসজিদ পরিচালনা খাতে ব্যায় করা হবে। স্থানীয়রা আরো জানান, ভুয়া মোতয়াল্লি মসজিদ ও ওয়াকফকৃত সম্পর্ত্তির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। সেই মামলায় মসজিদের কোন কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না মর্মে আদালত ১৪৪ ধারা জারি করেন। এতে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে এলাকাবাসী প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
উল্লেখ্য এক নিঃসন্তান মহিলা ১৯০১ সালের দিকে তার প্রায় ৪শ বিঘা জমি মসজিদ এর নামে ওয়াকফ করে যায়। কালের পরিক্রমায় বেশির ভাগ সম্পর্ত্তি ওযাকফ এস্টেটের হাত ছাড়া হয়ে যায়। সর্বশেষ এসএ রেকর্ড ও আরএস রেকর্ডে মাত্র ৩৮ বিঘা জমি মসজিদ এস্টেটের নামে রেকর্ড হয়। এই সম্পর্ত্তি বিক্রি করার জন্য কাজি আনু মোঃ মাসুদ চক্রান্ত করতে থাকে। শুধু তাই নয়, বাধা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে পাবনা জজ কোটে একাধিক হয়রানিমুলক মামলা করেছে। সর্বশেষ আদালতকে ভুল তথ্য দিয়ে ও মসজিদে নামাজ আদায় বন্ধ করতে ওয়াকফকৃত সকল সম্পত্তির উপর ১৪৪ ধারা জারি করেছে। এর ফলে মসজিদের আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পেশ ইমাম হাফেজ মোঃ আলী আকবর গত কয়েক মাস যাবত বেতন পাচ্ছেন না। স্থানীয় কতিপয় ব্যাক্তি ইমাম সাহেবকে স্বল্প টাকা দিয়ে ইমামতি করাচ্ছেন। ফলে অত্র মসজিদের ইমাম মানবেতর জীবন যাপন করছে। পাবনার জেলা প্রশাসকসহ জনপ্রতিনিধিদের কাছে এলাকাবাসীর দাবি স্থানীয় মসজিদটিকে রক্ষা ও ওয়াকফকৃত সম্পত্তি মসজিদের অনুকুলে রাখতে এবং মসজিদেও কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সহযোগিতা কামনা করেন।