বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
কামরুল হাসান, মহম্মদপুর মাগুরা:
করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় লকডাউনের আওতায় পুরো দেশ। কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে কঠোর লকডাউনের মধ্য দিয়ে মাগুরার মহম্মদপুরের খেয়াঘাট গুলোতে স্বাভাবিক যাত্রী পারাপার হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে নির্ধারিত ভাড়ার চারগুন টাকা দিয়ে নৌকায় পারাপার হচ্ছেন এপার ওপারের যাত্রীরা। খেয়া ঘাটের নিয়ম এখন অনিয়মে পরিনত হয়েছে। অধিকাংশ যাত্রীদের মুখে মাস্ক নেই, কেউ মানছেনা স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দুরত্ব। করোনা ভাইরাস সংক্রমনের ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন নদী পারাপার হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। পাশর্^বর্ত্তী ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী, মধুখালি ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার সাথে সংযোগ ঘটিয়েছে এই খেয়াঘাট গুলোর। করোনা উপসর্গ নিয়ে এক জেলার মানুষ অন্য জেলাতে সংক্রমন ছড়াতে সহায়ক ভুমিকা রাখছে। লকডাউন কার্যকর এবং অনুপ্রবেশ বন্ধ না হলে সংক্রমনের হার বাড়বে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। মহম্মদপুর উপজেলার পূর্বপাশ দিয়ে প্রবাহিত মধুমতি নদীর ১০টি পয়েন্টে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে খেয়া পারাপার স্বাভাবিক রেখেছে ঘাটে মাঝিরা। অন্যদিকে-লকডাউন অজুহাতে ৫ টাকার ভাড়া প্রথমে ১০ টাকা পরে তা বেড়ে ২০ টাকায় দাড়িয়েছে। মোটরসাইকেল সহ কেউ খেয়া পার হলে তাকে দিতে হয় ৬০ টাকা। কোন জবাবদিহিতা না থাকায় নিজেদের ইচ্ছা মত দিনদিন ভাড়া বাড়াচ্ছেন ঘাট ইজারাদাররা।
শনিবার সকালে সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলায় মধুমতি নদীতে কাঁশিপুর,পাল্লা , শিরগ্রাম ঘাট, দাতিয়াদহ মোল্যা বাড়ি ঘাট, হরিনাডাঙ্গা পূর্বপাড়া ঘাট, রায়পুর ঘাট, মাধবপুর ও চরপাচুড়িয়া খেয়া ঘাটে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ খেয়া পার হয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করছেন। যেখানে মানা হচ্ছেনা স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দুরত্ব। হরিনাডাঙ্গা পূর্বপাড়া ঘাটে দাড়িয়ে থাকা আসলাম শেখ ও জানান, কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড জ্বর তাই ডাক্তার দেখাতে ফরিদপুরে যেতে হচ্ছে। কিন্তু অনেকক্ষণ ধরে নদী পাড়ে দাড়িয়ে থাকায় হাত-পা ব্যথা করছে। নৌকার জন্য অপেক্ষামান ঢাকার আরেক যাত্রী আরাফাত হোসেন জানান, এই মহামারিতে কি এমনি এমনি বাইরে এসেছি। গার্মেন্টস থেকে ফোন এসেছে তাই ঢাকা যেতে হচ্ছে। শত দূর্ভোগ হলে ঢাকায় পৌঁছাতেই হবে।
হরিনাডাঙ্গা ঘাট ইজারাদার সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি চেয়ারম্যানকে ৪০হাজার টাকা দিয়ে ঘাট ইজারা নিয়েছি। লকডাউনের কারনে কারনে জনপ্রতি ২০ টাকা করে নিচ্ছি। তেল খরচ ও ট্রলার মেরামতসহ বিভিন্ন খাতে টাকা খরচ হয়ে যায়।
বাবুখালী ইউপি চেয়ারম্যান মীর মো. সাজ্জাদ আলী বলেন, মাত্র ৪০ হাজার টাকায় খেয়া ঘাট ইজারা দেওয়া। যদি ইজারাদাররা জনপ্রতি ২০ টাকা ভাড়া নেয় তবে সে চরম অন্যায় করেছে। স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করলে প্রয়জনে খেয়া চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রামানন্দ পাল বলেন, কঠোর লকডাউনে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বিনা কারনে কেউ ঘরের বাহির হতে পারবে না। যারা বিনা কারনে ঘরের বাহির হচ্ছেন তাদের জেল জরিমানা করা হচ্ছে। লকডাউন চলাকালীন সময়ে শুধুমাত্র রোগী ছাড়া অন্যান্য যাত্রী পারাপার বন্ধ রাখার জন্য খেয়াঘাটের ইজারাদারদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হবে।