শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
সুইটি আক্তার. মাদারীপুর
মাদারীপুরে বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের এজলাসের সামনে কক্ষের বাহিরে ধর্ষণ মামলার আসামি কে হাতে হাতকড়া পরা অবস্থায় পুলিশের সামনেই ধর্ষণ মামলার আসামীর উপর হামলা করার অভিযোগ উঠেছে। এতে ধর্ষণ মামলার বাদি ও তার স্বামী দুইজনেই আহত হয়েছে।
পুলিশ ও আদালতে কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়। কয়েক মাস আগে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় দন্ত চিকিৎসক সাইদুর রহমান কিরন কাছে চিকিৎসা নিতে যান এক গৃহবধু। এরপর ওই গৃহবধুকে চিকিৎসার নামে ঘুমের ঔষধ খাওয়াইয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারন করে রাখে। সেই ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ডাক্তার কিরন ও তার দুই বন্ধু লাগাতার কয়েক মাস ধর্ষণ করতে থাকে । পরে একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে গৃহবধু তার স্বামীকে সব জানান। সেই ঘটনায় কালকিনি থানায় একটি মামলা করে নির্যাতিতা গৃহবধু। দন্ত চিকিৎসক সাইদুর রহমান কিরন ও তার বন্ধু মেহেদী হাসান শিকদার, সোহাগ মোল্লাকে আসামি করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বাদী জানায়, ধর্ষণ মামলার আসামি মেহেদী হাসান শিকদার বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজিরা দিতে আসে। পরবর্তীতে এজলাসের কক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় মেহেদী হাসান শিকদার হাতে হাতকড়া পরা অবস্থায় অন্য হাত দিয়ে, দরজার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মামলার বাদীর হাত ধরে টেনে নিচে ফেলে দেয় এবং পেটের উপর লাথি মারে। পরবর্তীতে তার স্বামী এগিয়ে আসলে তাকেও আসামির স্বজন মামুন প্যাদা ও সোহাগ শিকদার মারধর করে। বাদী ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
ভুক্তভোগী বলেন, আসামি মেহেদী হাসান হাতে হাতকড়া পড়া অবস্থায় পুলিশের সামনেই আমার উপর হামলা চালায় ও পেটের উপর লাথি মারে। আমার স্বামীকে আসামির ভাইরা মারধর করে। আসামির ভাই মামুন প্যাদা আমাকে হুমকি দিয়ে বলে, যদি আমার ভাই জামিন না পায়, তোদের দেখে নিবো।
মাদারীপুর আদালতের পুলিশ পরিদর্শক রমেশ চন্দ্র দাস বলেন, আসামি যখন এজলাস থেকে দরজা দিয়ে বের হয় তখন বাদী ছবি তুলতে ছিল। এসময় আসামি বাদীকে মারার চেষ্টা করে। সাথে পুলিশ থাকায় মারতে পারেনি।