শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
সারাবংলা ডেক্স:
মাধবপুর উপজেলায় নিষ্ঠুর নির্যাতন ও হত্যা চেষ্টার শিকার তরুণীর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন। মেয়েটির চিকিৎসায় সকল ব্যয়ভার বহনসহ তার পরিবারকে সবধরণের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এ কর্মকর্তা।
এর আগে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে বখাটেরা। এ ঘটনার ছয় দিন পর ৬ বখাটের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। মেয়েটির বুক ও হাতের বিভিন্ন স্থানে কেটে যাওয়ায় অন্তত ৫০টি সেলাই লেগেছে।
ইউএনও মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন। এ সময় মাধবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম কিবরিয়াসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন বলেন, দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। মেয়েটির চিকিৎসার সকল ব্যয় উপজেলা প্রশাসন বহন করবে। এ ছাড়া তার পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে সবধরণের সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়ে এসেছি।
পুলিশ জানায়, নির্যাতনের শিকার মেয়েটি মাধবপুর উপজেলার মানিকপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বয়স ১৯ বছর। গত ১৯ এপ্রিল রাতে মেয়েটি তার বসতঘর থেকে বের হয়ে টিউবওয়েলে যায়। এ সময় কয়েকজন তরুণ তার হাত, বুক ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে দায়িত্বরত চিকিৎসক সিলেটে পাঠিয়ে দেন।
প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বখাটেরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানান পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম কিবরিয়া। এ ঘটনার ছয়দিন পর সোমবার (২৫ এপ্রিল ছয় জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।