বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
কামরুল হাসান, ময়মনসিংহ :
“নৈঃশব্দ্য ভেঙে জেগে ওঠো দ্রোহে” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর ৫৩-তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ময়মনসিংহ জেলা সংসদের উদ্দ্যোগে পালিত হয়েছে। দিবসটি পালনে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন, আনন্দ শোভাযাত্রা, কবিতা পাঠ, গণসঙ্গীত, নৃত্য পরিবেশন, “আমি কী করে উদীচী’তে এলাম” এই বিষয়ের উপর উপস্থিতির মধ্য থেকে স্মৃতিচারণ ও আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা উদীচীর কার্যালয়ে।
২৯ অক্টোবর শুক্রবার বিকাল ৪ টায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলোকময়নাহা সংগীত বিদ্যায়তনের অধ্যক্ষ ওস্তাদ পবিত্র মোহন দে।
১৯৬৮ সালের ২৯ অক্টোবর এক ঝাঁক তরুণ সাংস্কৃতিক কর্মী সঙ্গে নিয়ে বিপ্লবী কথাশিল্পী সত্যেন সেন ও রণেশ দাস গুপ্তের হাত ধরে হাটি হাটি পা পা করে বাংলাদেশের বৃহত্তম সাংস্কৃতিক সংগঠন “বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী” আজ ৫৪ বছরে যাত্রা শুরু করেছে। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অধিকার, স্বাধীনতা ও সাম্যের সমাজ বিনির্মাণে আন্দোলন করে আসছে। উদীচীর কর্মীরা স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। ২০১৩ সালে সংগঠনটি দেশের সর্বোচ্চ সন্মান একুশে পদক লাভ করে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়াতেও উদীচীর শাখা রয়েছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর উদীচী ভবন থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের নতুন বাজার ট্রাফিক মোড় হয়ে গাঙ্গিনারপাড় ট্রাফিক মোড় দিয়ে দুর্গাবাড়ী রোড হয়ে আঠারবাড়ী বিল্ডিং দিয়ে পুণরায় উদীচী ভবনে এসে শোভাযাত্রাটি শেষ হয়।
মিসেস সম্পা দত্তের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন “বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী” ময়মনসিংহ জেলা সংসদের সভাপতি প্রদীপ চন্দ্র কর। তিনি উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সভাপতি বলেন, করোনা জয়ের আনন্দ ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিষাদ এ দুয়ের সংমিশ্রণে আনন্দ-বেদনার মিশেল মিশিয়ে আমরা প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎসব উদযাপন করছি।
এছাড়াও স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য প্রদান করেন, আতাউর রহমান, সহ-সভাপতি উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, সনৎ কুমার ঘোষ, সহ-সভাপতি উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, যীশুতোষ তালুকদার সাধারণ সম্পাদক উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, ইলোরা ইমাম শম্পা সহ-সাধারণ সম্পাদক উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সাংবাদিকবৃন্ধ উপস্থিত ছিলেন।
আলোকময়নাহা সংগীত বিদ্যায়তনের সার্বিক নির্দেশনায় কবিতা পাঠ, গণসঙ্গীত, গান ও নৃত্য পরিবেশনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি হয়।