শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১০ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
নিজস্ব সংবাদদাতা, বেনাপোল যশোর:
যশোরের শার্শার লক্ষণপুর ইউপি ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক (বর্তমানে যশোর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এস এ শাখায় সংযুক্ত) তপন কুমার কুন্ডুর বিরুদ্ধে অননুমোদিতভাবে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত আইনের তোয়াক্কা না করে গত ৭ মাসে ৬ বার ভারতে অবস্থান করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তিনি এ ৬ বার যাত্রায় মোট ৪০ দিন অবস্থান করেন। প্রশ্ন উঠেছে একজন সরকারি কর্মচারী কোন ক্ষমতাবলে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে এ কাজ করার সাহস পেয়েছেন। জানা যায়, যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার সন্তোষ চন্দ্র কুন্ডুর ছেলে তপন কুমার কুন্ডু। তার ব্যবসায়িক পাসপোর্ট নম্বর: অ ০০৯৫২২০৬। তিনি ২২ সালের জুন মাসে ৫-১৪, জুলাইয়ে ৭-১৭, সেপ্টেম্বরে ১-৪, অক্টোবরে ২৪-৩০, নভেম্বরে ২০-২৩, সর্বশেষ ডিসেম্বরের ৩০ থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারীর ২ তারিখ পর্যন্ত মোট ৪০ দিন সময় কাটান। একজন সরকারি চাকুরীজীবি গভমেন্ট সার্ভিস অনুযায়ী পাসপোর্ট ভিসার অধিকারী হন। সেক্ষেত্রে জিও লেটার সাপেক্ষে দেশের বাহিরে গমনা-গমণ করতে পারেন। গত সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখ জেলা প্রশাসক বরাবর সহকারী কমিশনার (ভূমি) শার্শার একটি পত্র মোতাবেক জুন মাসের ৬-৭ তারিখ অভিযুক্ত তপন কুমার কুন্ডুর বিরুদ্ধে সরকারি চাকুরী বিধিমালা প্রতিপালন না করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। ইতিপূর্বেও অননুমোদিতভাবে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার কারণে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। বর্তমানে চাকুরীতে বহাল রাখা রাজস্ব প্রশাসনের জন্য ক্ষতিকর বিধায় সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপীল) বিধিমালা,২০১৮ এর ৩ (খ) ও ৩ (ঘ) বিধি মোতাবেক অসদাচারণ ও দূর্ণীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করে ও একই বিধিমালার ১২(১) অনুযায়ী ২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন জেলা প্রশাসক। তপন নিজেকে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে আর এস ১/১ খতিয়ানের জমিতে তথ্য গোপণ করে গৃহহীণ পরিবারের সরকারী ঘর নির্মাণ করবে না মর্মে নিশ্চিন্তপুরের জনাল আবেদীনের ছেলে আওরঙ্গজেবের নিকট থেকে ৪০ হাজার টাকার উৎকোচ গ্রহণ, নাম পত্তনের নামে পাকশিয়ার মৃত শওকত আলীর ছেলে মহির উদ্দীনের নিকট থেকে নগদ অর্থ ও মূল দলিল নিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আছে অফিসে। ডিহি ও লক্ষণপুর ইউনিয়নে আর এস ১/১ খতিয়ানের জমি থাকায় এবং অফিস সহায়ক তপন ঐ ভূমি অফিসে চাকরীর সুবাদে অঢেল টাকার মালিক বনে যায়। তিনি কোথাও কোথাও নিজেকে প্রতিমন্ত্রীর কাছের লোক পরিচয়ে প্রতারণাও করেন। কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতারক তপন কুমারের প্রতারণা থেকে রক্ষা পাওয়া ও তার শাস্তি হোক এমনটাই দাবী করেন এলাকাবাসী। বেনাপোল ওসি ইমিগ্রেশন আবুল কালাম আজাদ জানান গত ৭ মাসে অ ০০৯৫২২০৬ পাসপোর্ট যাত্রী একাধিক বার বাংলাদেশ-ভারত যাতায়াত করেছে। অফিস সহায়ক তপন কুমার কুন্ডুর নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার সম্পর্কে যা জানার দরকার তা শার্শা অফিস থেকে জেনে নেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ইসলাম বলেন, অফিস সহায়ক তপন কুমার কুন্ডুর বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টাল তদন্ত চলছে। সব কিছুতো তার মধ্যে উঠে আসবে।