বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৫ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
হারুন উর রশিদ সোহেল, রংপুর ব্যুরো:
আসন্ন ঈদ উল আযহা বা কোরবানীর ঈদ হচ্ছে মুসলমান ধর্মীয় দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব। এই ঈদে মূল আকর্ষণ হচ্ছে পশু কেনা। ইতিমধ্যেই রংপুর নগরীসহ জেলার বিভিন্ন পশুর হাট জমে উঠেছে। তবে ক্রেতার অভাব কিছুটা লক্ষ্য করা গেছে। অন্যদিকে আর দুইদিন বাদে ঈদ, নেই তেমন বিক্রি। এবারের ঈদে পোশাকের কেনাকাটা তেমন জমে না। তার পরেও রংপুর নগরীর বিভিন্ন অভিজাত বিপনীবিতান ও শপিংমলে চলছে বিশেষ মূল্যছাড়। অফারের হিরিক কোনটির অফার শেষ হওয়ার পর নতুন করে অফার দিচ্ছে। আবার কোন কোন বিপনীবিতানে অফার চলমান রয়েছে। এতকিছুর পরেওই বিপনী বিতান ও শপিং মহল গুলোতে কাঙ্খিত ক্রেতা মিলছে না। এমন পরিস্থিতি হতাশ হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, ঈদ উল ফিতরের চেয়ে এবার বিক্রি কম হবে এটাই স্বাভাবিক । কিন্তু বেচাবিক্রি নাই বললেই চলে। এতে তারা লোকসানে পড়বেন বলে জানিয়েছেন। নগরীর জিএল রায় রোডের রহিল শোরুমের কর্মচারি মামুন মিয়া জানান, ঈদ উপলক্ষে তারা অফার দিয়েছেন। দুইদিন আগে তাদের অফারের সময়সীমা শেষ হয়েছে। ক্রেতা না মেলায় তারা নতুন করে অফারের কথা ভাবছেন। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, রংপুর নগরীর সুপার মার্কেট, রজনীগন্ধা গোলাম মোস্তফা মার্কেট, জাহাজকোম্পানী শপিং মল, মানচিত্র মার্কেট সহ বিভিন্ন অভিজাত বিপনীবিতান ও শপিংমল সহ নগরীর জামাল মার্কেট, ছালেক মার্কেট, স্টেশন মার্কেট, সাতমাথা মার্কেট, মাহিগঞ্জ মার্কেট, লালবাগ, মর্ডাণ মোড়ের প্রতিটি মার্কেটের ব্যবসায়িরা প্রায় ১৫ দিন আগেই ঈদ বাজারের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। তারা আগের মতই বিক্রি করে যাচ্ছেন। ঈদ উপলক্ষে যে অনুপাতে এ সময় মার্কেটে ক্রেতার উপস্থিতি হওয়ার কথা সে অনুপাতে ক্রেতা নেই। আর দুইদিন বাদে ঈদ, নেই তেমন বিক্রি। এতে তারা হতাশা প্রকাশ করেছেন। ব্যবসায়ীরা জানান, সাধারণ সময়ের চেয়ে এবার অনেকটা বিক্রি কম। নগরীর যেসব মার্কেটে এবং বিভিন্নস্থানে যারা দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছেন তারা এবার বিপাকে পড়বেন। নগরীর বিভিন্ন ফুটপাতের ব্যবসায়িরাও এ ঈদকে ঘিরে অনেকটা আশাবাদি ছিলেন। সেই ফুটপাতেও তেমন বিক্রি নেই। তারাও অলস সময় পার করছেন। এতে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানা গেছে। নগরীর মর্ডাণ মোড় এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান নয়ন ও নুর হোসেন বলেন, প্রতি বছর যেহারে বেচাবিক্রি হয় তা এবার নেই। তেমন ক্রেতাও আসেনা, বিক্রিও হয় না। মনেই হচ্ছে না যে আর মাত্র দুইদিন পর ঈদ হবে। এমন পরিস্থিতিতে তারা আগে পড়েননি।
রংপুর নগরীর শাহ সালেক মার্কেট দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ বলেন, আর দুইদিন বাদে ঈদ, নেই তেমন বিক্রি। এবারের ঈদে পোশাকের কেনাকাটা তেমন জমেনি। ব্যবসায়ীরা অলস সময় পার করছেন।