বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৩ পূর্বাহ্ন

News Headline :
ঐতিহ্যবাহী পাবনা প্রেস ক্লাবের অনিয়ম রংপুরে হারাগাছে ভূয়া আত্মীয় পরিচয় দিয়ে মামলাকারীর মামলা প্রত্যাহার ও জড়িতকে গ্রেফতারের দাবি প্রবাসী যুবকের সাথে প্রতারণা করে অর্ধযুগের কষ্টার্জিত আয় আত্মসাতের অভিযোগ এক নারীর বিরুদ্ধে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো যমুনা রেলওয়ে সেতু পোষ্য কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে নয়-ছয়; রাবিতে ফের আন্দোলনের প্রস্তুতি রাজশাহীতে পারিবারিক পুষ্টি বাগানে স্বাবলম্বী হচ্ছে গ্রামীণ প্রান্তিক নারীরা পাবনা প্রেসক্লাবের অনিয়ম তদন্তে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কমিটি গঠন মহানগরীতে স্বর্ণের দোকানে চুরির অভিযোগে জনতার হাতে আটক নারীকে পুলিশে সোপর্দ পাঁচ শতাধিক নবীন শিক্ষার্থীকে বরণ করলো হাবিপ্রবি ছাত্রশিবির মানুষকে যারা কষ্ট দেয় তাদেরকে পরিহার করুন : এ.কে.এম. আমিনুল হক

রংপুরে নবজাতক বিক্রি ক্লিনিকের পরিচালকসহ গ্রেফতার ৩

Reading Time: 2 minutes

নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর:
রংপুরে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে জোরপূর্বক নবজাতক বিক্রির ঘটনায় ক্লিনিক পরিচালকসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরা হলো, রংপুর নগরীর বাবুখাঁ কামারপাড়ার নজির উদ্দিন সরকারের ছেলে হলিক্রিসেন্ট ক্লিনিকের পরিচালক পল্লী চিকিৎসক এমএস রহমান রনি (৫৮), পীরজাবাদ এলাকার সামসুল ইসলামের ছেলে রুবেল হোসেন রতন (৩০) ও রতনের স্ত্রী জেরিনা আক্তার বিথী (৩০)। রবিবার (২১ জানুয়ারী) বিকেলে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ বিভাগ কার্যালয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন জানান, রংপুর নগরীর বুড়ারঘাট এলাকার ওয়াসিম আকরামের স্ত্রী লাবনী’র (২২) গত ১৩ জানুয়ারী প্রসব বেদনা নিয়ে হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই রাতে সিজারের মাধ্যমে তিনি একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন। এর তিনদিন পর ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ লাবনী ও তার স্বামীকে বিল পরিশোধের জন্য চাপ দিতে থাকে। ওয়াসিম ও লাবনী দম্পতির অস্বচ্ছলতাকে পুঁজি করে ক্লিনিকের পরিচালক এমএস রহমান রনি তার পূর্ব পরিচিত জেরিনা আক্তার বিথী ও তার স্বামী রুবেল হোসেন রতনের চাপে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে নবজাতককে বিক্রি করে দেয়। এতে সহযোগিতা করে লাবনীর স্বামী ওয়াসিম। এ ঘটনায় দিশেহারা লাবনী মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ রবিবার নগরীর পীরজাবাদ এলাকা থেকে নবজাতককে উদ্ধারসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে। নবজাতক বিক্রির ঘটনার সাথে জড়িত লাবনীর স্বামী ওয়াসিমকে গ্রেফতারে পুলিশের তৎপরতা অব্যহত রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। রবিবার আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন বলেন, আমরা তথ্য পাওয়ার পরপরই নবজাতক উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতার করি। এমএস রহমান রনি ভুক্তভোগী লাবনীর পূর্ব পরিচিত। লাবনীকে তার হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং পরবর্তীতে ক্লিনিক বিল পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার অযুহাতে নবজাতকটিকে বিক্রি করে দেন। আমরা লাবনীর স্বামী পলাতক ওয়াসিমকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com