সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:২৯ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
হারুন উর রশিদ সোহেল, রংপুর ব্যুরো:
রংপুরে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সাবেক রাস্ট্রপতি ও বিরোধী দলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৯৩তম জন্ম বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
জাতীয় পার্টি রংপুর মহানগর ও জেলা কমিটির আয়োজনে গতকাল সোমবার বাদ আছর নগরীর দর্শনাস্থ পল্লী নিবাসে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, প্রয়াত রাস্ট্রপতি ও বিরোধী দলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, কবর জিয়ারত ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, রংপুর জেলা ও মহানগর সভাপতি, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্টিত দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান, রংপুর মহানগর সাধারন সম্পাদক এস.এম ইয়াসির, জাপা রংপুর মহানগর সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন, জাহেদুল ইসলাম, জেলা জাপার যূগ্ম আহবায়ক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু নাসের শাহ মোঃ মাহাবুবার রহমান, রুহুল আমিন লিটন, এ্যাড.মোকাম্মেল হল চৌধুরী, জাতীয় যুব সংহতি রংপুর জেলার সভাপতি হাসানুজ্জামান নাজিম, জাতীয় যুব সংহতি রংপুর মহানগর সভাপতি শাহিন হোসেন জাকির, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি রংপুর মহানগর আহবায়ক ফারুক হোসেন মন্ডল, জেলা জাপার সদস্য শাহীনুর হক কমেট, সদর উপজেলা জাপার আহবায়ক মাসুদ নবী মুন্না, সদস্য মাসুদার রহমান মিলন, জাতীয় ছাত্র সমাজ রংপুর মহানগর সভাপতি ইয়াসির আরাফাত আসিফ, জাতীয় শ্রমিক পার্টি রংপুর মহানগর সভাপতি রাজু আহমেদ, সাধারন সম্পাদক মজাহারুল ইসলাম মন্টু, জেলা জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সদস্য সচিব মাহাবুবার রহমান বেলাল, শ্রমিক নেতা মাসুদ রানা মিলন প্রমুখ।
এসময় জাতীয় পার্টি রংপুর মহানগর ও জেলা ওতার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ১৯৩০ সালের ২০ মার্চ কুড়িগ্রাম শহরের ‘লাল দালান’ বাড়িখ্যাত নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন পান ১৯৫২ সালে। তিনি ১৯৭৫ সালের ২৪ আগস্ট মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হন। এরশাদ ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে হটিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। ১৯৮৬ সালে তার প্রতিষ্ঠিত দল জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি দেশে উপজেলা পদ্ধতি চালু করেন। বিরোধী দলগুলোর লাগাতার গণআন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন। এরপর গ্রেপ্তার হয়ে ৬ বছর কারারুদ্ধ থাকেন। তবে তিনি ১৯৯৭ সালের ৯ জানুয়ারি কারাগার থেকে মুক্তি পান। কারাগারে থাকাকালীন ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ৫টি করে আসনে প্রার্থী হয়ে প্রতিটিতে জয়ী হন এরশাদ। জেলে থেকে নির্বাচনের এমন বিজয় সাফল্যের নজিরও নেই ইতিহাসে। কোনো নির্বাচনে না হারার রেকর্ডও আছে তার।এরশাদের হাতে গড়া রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টি বর্তমান সংসদে প্রধান বিরোধীদল। দশম জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধীদল ছিল জাতীয় পার্টি। ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠার পর থেকে অনন্য রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয় জাতীয় পার্টি। তৃতীয় ও চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছিল জাতীয় পার্টি। এরপর থেকে প্রতিটি সংসদেই প্রতিনিধিত্ব ছিল জাতীয় পার্টির। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদের নির্বাচনের পর সরকার গঠনে জাতীয় পার্টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এছাড়া প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের পরে সরকার গঠনেও জাতীয় পার্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেন। এরশাদ তার জীবন দশায় দলের দায়িত্ব ছোট ভাই জিএম কাদেরের হাতে তুলে দেন। তিনি ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। পরে তাকে রংপুরের পল্লী নিবাসে সমাহিত করা হয়।