বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৪ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
হারুন উর রশিদ সোহেল, রংপুর:
রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের এমআরআই, আল্ট্রাসনোগ্রাম ও ইসিজি কক্ষে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনার পরেই আতংক আর ভয়ে ছোটাছুটি করেছেন কর্মচারী, রোগী ও স্বজনরা। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট পৌঁছে দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলেন। তবে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছানোর আগেই তারা নিজেরা আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছেন হাসপাতালের কর্মচারীদের দাবি করেছেন। তবে এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা সম্ভব হয়নি।
রোগী ও স্বজনরা বলছেন, কিছুদিন পর পর হাসপাতালে আগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকা-ের নেপথ্যে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কি না তার সঠিক তদন্ত দাবি করেছেন তারা।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালের নিচতলার আল্ট্রাসনোগ্রাম, এমআরআই ও ইসিজি কক্ষে আকস্মিক আগুন লেগে যায়। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। ফায়ার সার্ভিস ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের নিচতলার আল্ট্রাসনোগ্রাম, এমআরআই ও ইসিজি কক্ষ থেকে হঠাৎ ধোঁয়া বের হতে দেখেন কর্মচারীরা। ভেতরে আগুন ছড়িয়েছে সন্দেহে তারা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। এরই মধ্যে কয়েকজন কর্মচারী কক্ষের দরজায় লাগানো তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বৈদ্যুতিক সার্কিটের সুইচ বন্ধ করে দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট সেখানে এসে আধা ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা যায়নি।
এদিকে হাসপাতালের কর্মচারী, রোগী ও স্বজনরা জানিয়েছেন, হঠাৎ করে কালো ধোঁয়ার কু-লী দেখে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। হাসপাতালে অগ্নিকা-ের নেপথ্যে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কি না তার সঠিক তদন্ত দাবি করেছেন তারা।
হাসপাতালের লিফটম্যান রফিকুল ইসলাম ও আনছার বাহিনীর সদস্য সেলিম মিয়া বলেন, মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ করে এমআরআই কক্ষ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখি। এটা দেখে অনেকেই ছুটোছুটি শুরু করেন। পরে আমরা কয়েকজন মিলে ওই কক্ষের দরজায় থাকা তালাটি হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ভেতরে ঢুকে বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ করে দেই। এরপরই আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সেখানে উপস্থিত হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের পরিচালক ডা. শরিফুল ইসলাম। তিনি জানান, হাসপাতালের ওই ভবনটি অনেক পুরোনো এবং বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ কারণে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি। এছাড়াও অন্যকোন কারণ আছে কি না তা ক্ষতিয়ে দেখা হবে।