রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৬ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
সবুজ মোল্লা, পাবনা :
পাবনার ঈশ্বরদীতে জমি থেকে এস্কেভেটর দিয়ে অবৈধভাবে পুকুর খননের সময় বৈদ্যুতিক লাইনে শর্ট লেগে শামীম হোসেন ছানু (৪৫) নামের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের কালিকাপুরে ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার রফিকুল ইসলাম রবুর মাটির খাদে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নিহত শামীম হোসেন ছানু উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের ০৭ নং ওয়ার্ডের মৃত মো: আবুল মুন্সীর ছেলে।
তিনি দাশুড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। মৃত্যুর পর তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন৷ তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এলাকাজুড়ে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা চালাচ্ছে রফিকুল ইসলাম রবু মেম্বার। আর এ ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। স্থানীয়রা জানায়, কয়েক দিন ধরে পুকুরে মাটি কাটার কাজ করছিলেন রবু মেম্বার৷ এসময় বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা হওয়ায় পানি সেচ দিতে যায় শামীম হোসেন ছানু।এসময় সে আর ফিরে এসেনি৷ স্থানীয়রা সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে৷ পরে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। স্থানীয়রা আরো জানায়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রায় এক মাস ধরে অন্তত দশ বিঘা কৃষি জমিতে পুকুর খনন করার কাজ করছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রফিকুল ইসলাম রবু মেম্বার। স্থানীয়রা পুকুর খননে বাধা দিতে গেলে নানা রকমের হুমকি ধামকি ও মারধর করা হয়। সেলিম হোসেন নামের স্থানীয় একজন জানান, রবু মেম্বারের জ্বালায় অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। তিনি মেম্বার হওয়ার পর থেকে এলাকা জুড়ে তাণ্ডব চালায়। সকল প্রকার অবৈধ কার্যকলাপে লিপ্ত তিনি। গত এক মাস ধরে তিনি কৃষি জমি নষ্ট করে মাটি খনন করছে৷ এতে রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। কেও কিছু বলতে গেলে হুমকি ধামকি দেয় সে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানায়, রফিকুল ইসলাম রবু মেম্বার একজন সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসী কার্যক্রম তিনি দীর্ঘদিন ধরে চালান। কয়েক বছর আগে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতে গিয়ে পাবনা সদর উপজেলার টেবুনিয়াতে তাকে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয় কয়েকজন লোক৷ তাতেও তার সন্ত্রাসী কার্যক্রম কমেনি। মেম্বার হওয়ার পর থেকে তিনি আরো সন্ত্রাসী কার্যক্রম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ বিষয়ে সোহেল রানা নামের এক যুবক বলেন, রফিকুল ইসলাম রবু মেম্বার পুকুর খনন করে করেই চলেন৷ পুলিশ আসলে পালিয়ে যায় সবাই৷ আবার চুরি করে মাটি উত্তোলন করে সে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়ার দাবী জানায় সে। তবে এসকল বিষয়ে জানতে চাইলে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে রফিকুল ইসলাম রবু মেম্বার বলেন, আমি ঘুমিয়ে ছিলাম মাত্র উঠে শুনে দেখি একজন মারা গেছে। এ ঘটনায় কারো কোন হাত নেই। এটি একটি অপমৃত্যু। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি৷ তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হবে এটা পূর্ব পরিকল্পিত হত্যা নাকী অপমৃত্যু।