শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন

News Headline :
পাবনায় “তারুণ্যের উৎসব ২০২৫”: আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে নবাগত জেলা প্রশাসকের কর্মদিবস শুরু!! গোবিন্দগঞ্জে ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ ১২০ শিক্ষার্থীদের পথচলা পুরাতন কাঠের তৈরি সাঁকো ভাঙ্গলেই সমস্যা হবে শেরপুরে নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকে দুর্বৃত্তদের আগুন লাগানোর চেষ্টা মাদক সমাজের ক্যান্সার এটা প্রতিরোধে প্রশাসনের অনিহা-শিমুল বিশ্বাস গণমাধ্যমে বিকৃত তথ্য প্রচার ইসলামপুরে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদী ব্রিফিং কৃষি অফিসের সামনে থেকে প্রণোদনার সার-বীজ পাচার রাজনৈতিক দলের পদধারী কেউ প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো পদে থাকতে পারবে না-সারজিস আলম গাবতলীতে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের দাবিতে শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ এই জনপদকে যারাই পদদলিত করেছে বাঙ্গালি তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে-শিমুল বিশ্বাস

রাজশাহীতে মে দিবসেও কর্মরত শ্রমিক বলছে কাজ না করলে পরিবার অনাহারে থাকবে

Reading Time: 2 minutes

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:

আজ সোমবার (১ মে) মহান মে দিবস। সারা বিশ্বের ন্যায় নানা আয়োজনে বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের এ দিনটি সারা বিশ্বের শ্রমিক শ্রেণির কাছে গুরুত্বপ‚র্ণ। কিন্তু যাদের অধিকার আদায়ের জন্য এ দিনটিকে পালন করা হয়, এ দিবসটি সম্পকে তারাই জানেন না।
রাজশাহী মহানগরীর অধিকাংশ শ্রমিক বলছেন, আজে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত তারা। অনেকে জানেই না মহান মে দিবস কবে। তারা বলছেন, বছরের অন্যান্য দিনের মতো আজকের দিনেও রাস্তায় প্রখর রোদে লেবারের কাজ, লেদ মিস্ত্রির কাজ, মোটর গ্যারেজের কাজ করতে হচ্ছে। শ্রমিকদের ভাষায় গরিবের আবার ‘দিবস কি? দিবস মানলে পেটে ভাত জুটবে কি ভাবে ? মহানগরী ঘুরে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখানকার অধিকাংশ শ্রমিক মে দিবসটি সম্পর্কে জানে না। কাজলা অক্ট্রয় মোড় মহাসড়ক সংলগ্ন দিনমজুর রেজাউল, খেজাউল, বলেন, সারাবছরই সকাল থেকে সন্ধ্যা আমাদের কাজ করতে হয়। াামাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষের দিবস মানলে বৌ, বাচ্চা না খেয়ে থাকবে। প্রখর রৌদ্রে আমাদের কাজ তো এসি অফিস থেকে বেরিয়ে কেউ করবে না। থাই শ্রমিক নাজমুল বলেন, আমাদের তো কেউ কখনো খোঁজও নেয় না। মে দিবস দিয়ে কি হবে। সারাদিন কাজ করি টাকা পাই তা দিয়ে সংসার চালাই। বালু বহনকারী রিক্সা শ্রমিক কালাম বলেন, নগরীর বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ইমারত নির্মান কাজ চলছে। মহাজনের অর্ডার অনুযায়ী সেইসব স্থানে ভ্যানে করে (প্রখর রোদ্রে) সারাদিন বালি বহন করি। দিন শেষে ৫/৬শত টাকা আয় হয়। দুই ছেলে ও দুই মেয়ের সংসার আমার। সেই আয়ের টাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কাজ না করলে পরিবারের লোকজন না খেয়ে মরবে। তো আমি মে দিবস দিয়ে কি করবো। নগরীর মতিহার থানার কাজে কাজলা এলাকার নির্মাণ শ্রমিক মোঃ রনি বলেন, আমাদের কাজের মজুরি বাড়ে না, কাজের সময়ও কমে না। মে দিবস প্রতিবছর আসে আর যায়। শ্রমিকদের ভাগ্য পরিবর্তন হয়না। যেমন ছিলাম তেমনি আছি। ঘটা করে একটি দিন কাজ বন্ধ রাখলে আমার তো কোন উপকার হবে না। তাই আমি দিবসে বিশ্বাস করিনা। গরিবের ভাগ্যে পরিবর্তণ কেউ করে দেবে না।
উল্লেখ্য, ১৮৮৬ সালের এ দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা ৮ ঘণ্টা কাজ, ৮ ঘণ্টা বিশ্রাম ও ৮ ঘণ্টা বিনোদনের দাবিতে রাজপথে নেমেছিলেন। সে আন্দোলনে শ্রমিকরা জীবনও উৎসর্গ করেছিলেন। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য শ্রমিকদের আত্মত্যাগের এই দিনকে তখন থেকেই সারা বিশ্বে মে দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com