রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪০ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
মাসুদ রানা রাব্বানী,রাজশাহী:
রাজশাহী অঞ্চলজুড়ে গরুর লাম্পি স্কিন রোগের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে করে আতঙ্গের মধ্যে পড়েছেন গৃহস্থ ও খামারিরা।মারাত্মক এই রোগ মশা, মাছি, আঠালি বা ব্যবহৃত নিভেল ও সিরিঞ্জ বারবার ব্যবহারের মাধ্যমে আক্রান্ত পশু থেকে সুস্থ পশুর শরীরে ছড়াচ্ছে। রোগটির সুনির্দিষ্ট কোন প্রতিষেধক না থাকায় দিশেহারা গৃহস্থ ও খামারিরা।এই লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) ভয়ংকর একটি রোগ। এখন এই রোগ বাংলাদেশে মহামারী রুপে ধারণ করেছে। রোগটি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ায় অনেক খামারি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
গৃহস্থ ও খামারিদের অভিযোগ, রোগটি বর্তমানে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। তারা গ্রামের কিছু পশু চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। এতে গরু সুস্থ না হয়ে বরং বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।বিশেষ করে জেলার গোদাগাড়ী উপজেলায় এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শে স্বেচ্ছাসেবীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন।গোদাগাড়ী পৌর এলাকার খামারি মর্জিনা খাতুন বলেন, আমার পোষা ৫ মাস বয়সী একটি গরু এই রোগে হঠাৎ করেই আক্রন্ত হয়ে পড়েছে। শরীরে প্রচন্ড জ্বর থাকায় ঠিকমত খাওয়া ও চলাফেরা করতে পারছে না। পুরো শরীর গোটা হয়ে যাওয়ায় গরু ব্যাথায় জর্জরিত হয়ে দূর্বল হয়ে পড়েছে। গরু নিয়ে খুব চিন্তিত হয়ে পড়েছি। উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে চিকিৎসা নিয়ে সেবা চলছে বলে জানান।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এই রোগটি পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছ। গোদাগাড়ী পৌর এলাকার মাদারপুর, বাইপাস, হাসাবপুর, আইহাই রাহী, লালবাগ হেলিপ্যাড, কাকনহাসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই রোগ দেখা দিয়েছে।
গোদাাগাড়ী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা রিপা রানী দাস বলেন, এই রোগী পুরো দেশজুড়েই ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন এই রোগে আক্রান্ত গরু আমাদের কাছে চিকিৎসা নিতে আসছে। আমরা তাদের ভ্যাকসিন ও ঔষধ দিয়ে সতকর্তামূলক পরামর্শ দিচ্ছি। এই রোগ সাধারণত মশা-মাছি বা ময়লা আবর্জনা থেকে হয়ে থাকে। সেই ক্ষেত্রে গরুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্না। বাছুর গরু বেশী আক্রান্ত হচ্ছে। তবে এই রোগে গরু মরার সংখ্যা খুবই কম। এই রোগ সারতে সময় লাগেও বলে জানান এই কর্মকর্তা।