বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩০ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
রাজশাহীর দুর্গাপুরে নগদের ডিস্ট্রিবিউশন সেলস অফিসার মোহাম্মদ জাহিদ হাসানকে (২৭) ছুরিকাঘাত করে তিন লাখ ১৬ হাজার টাকা ছিনতাই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে দুর্গাপুর থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় ৩জনকে গ্রেফতার করে শনিবার (৩০ এপ্রিল) সকালে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: রাজশাহী মহানগরীর বেলপুকুর থানার আগলা গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে মোহাম্মদ জাহিদ হাসান (২৭), একই থানার মোল্লা জামিরা গ্রামের খোশবর আলীর ছেলে মো: আবু বাক্কার (৩৩) ও চারঘাট থানার হলিদাগাছি গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে মো: জাফর হোসেন (২৫)।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর), মো: ইফতেখায়ের আলম। তিনি জানান, নগদের ডিস্ট্রিবিউশন সেলস অফিসার মোহাম্মদ জাহিদ হাসানকে (২৭) ছুরিকাঘাত করে তিন লক্ষ ১৬ হাজার টাকা ছিনতাই করে নেওয়ার ঘটনাটি ছিল পূর্ব পরিকল্পিত একটি সাজানো নাটক। এই ঘটনার কথিত বাদী মোহাম্মদ জাহিদ হাসান তার সহযোগী দুই বন্ধুর মাধ্যমে ছিনতাই ঘটনাটির নাটক সাজিয়েছিলো। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার জাহিদ জানায়, সে আর্থিক প্রতিষ্ঠান নগদের রাজশাহীর দুর্গাপুর এলাকার ডিস্ট্রিবিউশন সেলস অফিসার হিসেবে গত ৭/৮ মাস যাবত কর্মরত আছে। ইতোমধ্যে নগদের লেনদেনের প্রায় দুই লাখ টাকা ব্যক্তিগত কাজে খরচ করে ফেলেছে। সে নেশায় আসক্ত। এছাড়া অনেকেই তার কাছে পাওনা টাকা পাবে। তাই অর্থ আত্মসাৎ এর মাধ্যমে নগদ লেনদেনের ঘাটতির টাকা পরিশোধ করতে সে এই ছিনতাই ঘটনার নাটক সাজায়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত (২৪ এপ্রিল) দুপুর দেড় টার দিকে দুর্গাপুর থানাধীন জয়নগর ইউনিয়নের জয়নগর থেকে ভাগলপাড়া যাওয়ার ফাঁকা রাস্তায় সহযোগী দুই বন্ধুকে ডেকে নেয় ও একটা ব্যাগে থাকা নগদ লেনদেনের টাকা ও দুইটি মোবাইল তাদের দিয়ে দেয়। এরপর নিজের কাছে থাকা একটি চাকু দিয়ে নিজের ডান হাত হালকাভাবে কেটে দেয়। এ সময় তার একজন সহযোগীর মোবাইল থেকে প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র কর্মকর্তাকে ফোন দিয়ে জানায়, ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে নগদের লেনদেনের তিন লাখ ১৬ হাজার টাকা ও দুইটি মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। এরপর সে দূর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে এ প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। এ ঘটনায় দুর্গাপুর থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
মামলার পর থেকে দুর্গাপুর থানা পুলিশ গোপনে ও প্রকাশ্য অনুসন্ধান শুরু করে। কথিত বাদীর সন্দেহজনক আচরণ ও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা পর্যালোচনা করে ছিনতাই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ।
এ ঘটনার সাথে জড়িত মূল পরিকল্পনাকারী জাহিদসহ সহযোগী তার দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়া ছিনতাইকৃত তিন লাখ ১৬ হাজার টাকার মধ্যে ২লাখ ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ইফতেখায়ের আলম।