শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন

News Headline :
পাবনায় “তারুণ্যের উৎসব ২০২৫”: আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে নবাগত জেলা প্রশাসকের কর্মদিবস শুরু!! গোবিন্দগঞ্জে ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ ১২০ শিক্ষার্থীদের পথচলা পুরাতন কাঠের তৈরি সাঁকো ভাঙ্গলেই সমস্যা হবে শেরপুরে নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকে দুর্বৃত্তদের আগুন লাগানোর চেষ্টা মাদক সমাজের ক্যান্সার এটা প্রতিরোধে প্রশাসনের অনিহা-শিমুল বিশ্বাস গণমাধ্যমে বিকৃত তথ্য প্রচার ইসলামপুরে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদী ব্রিফিং কৃষি অফিসের সামনে থেকে প্রণোদনার সার-বীজ পাচার রাজনৈতিক দলের পদধারী কেউ প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো পদে থাকতে পারবে না-সারজিস আলম গাবতলীতে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের দাবিতে শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ এই জনপদকে যারাই পদদলিত করেছে বাঙ্গালি তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে-শিমুল বিশ্বাস

রাজশাহীতে পদ্মায় অসময়ে পানি বৃদ্ধি ভাঙন আতঙ্ক তলিয়ে যাচ্ছে ফসল

Reading Time: 2 minutes

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে অসময়ে রাজশাহীর পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে। নদী ও তার শাখা নদীসহ খালবিলেও পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। অসময়ে পানি বৃদ্ধিতে পদ্মা নদীর অভ্যান্তরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এতে তলিয়ে যাচ্ছে চরের ফসল। চরাঞ্চল ও ভাঙ্গনকবলিত এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। সাধারণত যে সময় পদ্মার পানি কমতে শুরু করে, সে সময় পানি বাড়তে শুরু করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রকৃতির এমন খামখেয়ালিপনা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী, সোমবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৪২ সেন্টিমিটার। এর আগের দিন রোববার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে পদ্মা নদীর পানির উচ্চতা ছিলো ১৬ দশমিক ৩৭ মিটার। একদিনে ৫ সেন্টিমিটারের মতো বেড়েছে। পদ্মা নদীর পানির বিপদ সীমা ১৮ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার। এ মৌসুমে সর্বোচ্চ পানির উচ্চতা ছিলো ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর। এ দুইদিনে রাজশাহী পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১৭ দশমিক ১৮ সেন্টিমিটার। তারপর পানি কমতে থাকে। ১৮ সেপ্টেম্বর পানি কমে আসে ১৪ দশমিক ৮৭ মিটারে। এর পর থেকে আবার পানি বাড়তে শুরু করেছে।
চরাঞ্চলের চাষিদের মাঝে দেখা দিয়েছে হাহাকার। ইতিমধ্য অনেকের চাষকৃত পেঁয়াজ, আখ, কপি ও টমেটোর ক্ষেতে পানি প্রবেশ করেছে। চর অঞ্চলের চাষিরা বলছেন, রোববার থেকে চরে পানি বাড়ছে। আর এতে তাদের চাষকৃত পেঁয়াজ, টমেটো, আখসহ নানান ফসল ডুবে যাচ্ছে। এ সমস্ত এলাকার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, চরের আবাদি জমি খুবই উর্বর। সব জমিতেই চমৎকার সবজি হয়। এভাবে পানি প্রবেশ করলে সর্বনাশ হয়ে যাবে।
নগরীর টি-বাধ, আই-বাধ, নবগঙ্গা বাধ, পদ্মা গার্ডেন এলাকাঘুরে দেখা যায়, কাঁশবনের জেগে ওঠা চর পানিতে তলিয়ে গেছে। নবগঙ্গা বাঁধের আশেপাশের আবাদের জমিতে পানি চলে এসেছে। এছাড়া খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গোদাগাড়ি, বাঘা ও পবা উপজেলার চরে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। চরের জমিতে রোপণকৃত পেঁয়াজ, আখ, কপি ও টমেটো ক্ষেতে পানি প্রবেশ করেছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার এনামুল হক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রকৃতির খামখেয়ালিপনা এখন আর কোন নিয়ম মানে না। সাধারণত অক্টোবারের এসময় পানি বাড়ে না বরং কমতে শুরু করে। কিন্ত এখন পানি বাড়ছে।
তিনি আরও জানান, উজানের পানি আসছে একারণে পানি বাড়ছে। নেপালের দিকে বন্যা হয়েছে। সেখান থেকেও কিছু পানি আসছে। তবে সোমবার সারাদিন পানি স্থির ছিলো। মঙ্গলবারের দিনটা পর্যবেক্ষণে যদি পানি স্থির থাকে তবে পানি কমতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com