সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
রাজশাহীতে মহানগরীতে জয়া খাতুন (১৯) নামের এক পরকীয়া প্রেমিকার ছুরিকাঘাতে প্রেমিক চাচার নাড়ি ভুড়ি বের হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। এঘটনায় শুক্রবার পরকীয়া প্রেমিকা জয়া খাতুনের শ্বশুর মোঃ নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-৩০ তারিখ- ১৬/০২/২০২৪। আহত প্রেমিক মোঃ শাহাদত হোসেন (২৪) সে নাটোর জেলা ও সদর থানার একডালা গ্রামের চুন্নু মিয়ার ছেলে। অপরদিকে আসামী পরকীয়া প্রেমিকা মোসাঃ জয়া খাতুন (১৯), সে রাজশাহী মহানগরীর কাটাখালী থানার সংসদিপুর গ্রামের মোঃ লালনের মেয়ে। মামলার বাদী নুরুল ইসলামের স্ত্রী সুলতানা খাতুন পারুল জানায়, গত ১০মাস আগে আমার ছেলে নোমানের (২২) সহিত জয়া খাতুনের বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে তার সাথে আমার ছেলের বনিবনা হচ্ছিল না। সে প্রায় রাজশাহী শহরে এসে বিভিন্ন জায়গায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে বাড়ীতে ফিরত। এরই মধ্যে গত দুই মাস আগে আমার ছেলের আপন চাচা শাহাদত হোসেনের সাথে আমার ছেলের স্ত্রী জয়া খাতুনের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তারা গোপনে মহানগরীর টিকাপাড়া এলাকায় একটি বাসা বাড়ী ভাড়া করে গোপনে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকে। এরপর গত বুধবার (১৪ ফেব্রæয়ারী) তারা ওই ভাড়া করা বাড়ীতে একসাথে রাত্রী যাপন করে। পরের দিন বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রæয়ারী) তাদের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হলে প্রেমিকা জয়া খাতুনের আমার দেবর শাহাদত হোসেনকে পেটে ছুরিকাঘাত করে। এতে তার পেট কেটে নাড়িভুড়ি বের হয়ে যায় গুরুতর আহত হয়। আহত শাহাদত হোসেন আমার স্বামী নুরুলের আপন ভাই এবং আমার ছেলে নোমানের আপন চাচা বলেও জানান জয়া খাতুনের শাশুড়ী সুলতানা খাতুন পারুল। বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জয়া খাতুন নামের এক যুবতী মহানগরীর অলোকার মোড়ে চিৎকার করে লোকজনকে বলতে থাকে তার বাড়ীতে ছিনতাইকারী প্রবেশ করে ছিনতাই করেছে। খবর পেয়ে তাকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাস করা হলে, সে এলামেলো কথাবার্তা বলে। ফলে তার কথায় সন্দেহ্ হয়। পরে যুবতীকে সাথে নিয়ে পুলিশ ফোর্স-সহ টিকাপাড়া এলাকায় তার ভাড়াকরা বাসায় গিয়ে দেখা যায় ঘরের মেঝেতে রক্তমাখা একটি ছুরি পড়ে আছে। এ সময় সে স্বিকার করে তার চাচা শশ্বরের শাহাদত হোসেন সাথে চাকু নিয়ে ধস্তা-ধস্তি এক পর্যায়ে পেটে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় নাড়ীভুড়ি বের হয়ে গেছে। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে জরুরী বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে প্রেমিক চাচা শ্বশুর রামেকের ৪নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওসি আরও বলেন, ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ভুক্তভুগির বড় ভাই নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় আসামী জয়া খাতুনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।