বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪১ পূর্বাহ্ন

News Headline :
ঐতিহ্যবাহী পাবনা প্রেস ক্লাবের অনিয়ম রংপুরে হারাগাছে ভূয়া আত্মীয় পরিচয় দিয়ে মামলাকারীর মামলা প্রত্যাহার ও জড়িতকে গ্রেফতারের দাবি প্রবাসী যুবকের সাথে প্রতারণা করে অর্ধযুগের কষ্টার্জিত আয় আত্মসাতের অভিযোগ এক নারীর বিরুদ্ধে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো যমুনা রেলওয়ে সেতু পোষ্য কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে নয়-ছয়; রাবিতে ফের আন্দোলনের প্রস্তুতি রাজশাহীতে পারিবারিক পুষ্টি বাগানে স্বাবলম্বী হচ্ছে গ্রামীণ প্রান্তিক নারীরা পাবনা প্রেসক্লাবের অনিয়ম তদন্তে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কমিটি গঠন মহানগরীতে স্বর্ণের দোকানে চুরির অভিযোগে জনতার হাতে আটক নারীকে পুলিশে সোপর্দ পাঁচ শতাধিক নবীন শিক্ষার্থীকে বরণ করলো হাবিপ্রবি ছাত্রশিবির মানুষকে যারা কষ্ট দেয় তাদেরকে পরিহার করুন : এ.কে.এম. আমিনুল হক

রাজশাহীতে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ অধিক ঝুঁকিতে স্থানীয়রা

Reading Time: 2 minutes

মাসুদ রানা রাব্বানী,রাজশাহী:
ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি বাড়ছেই। দীর্ঘ হচ্ছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। রোগির অব্যাহত চাপ সামাল দিতে খোলা হয়েছে আরও একটি ডেঙ্গু ওয়ার্ড। প্রতিদিনই ১২-১৬ জন করে রোগী ভর্তি হচ্ছে রামেকে। ডেঙ্গু প্রকোপের এই লাগাম এখনই টানা সম্ভব না হলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।রাজশাহী মেডিকেল কলেজ রামেক হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন, প্রথম দিকে ডেঙ্গু যেসব রোগী ভর্তি হচ্ছিলেন, তাদের অধিকাংশই ঢাকা ফেরত। কিন্তু এখন স্থানীয়ভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এরইমধ্যে ৭২ জনের অধিক ব্যক্তি স্থানীয়ভাবেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। সুতরাং বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি স্থানীয়দের। এ বিষয়ে এখনই সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, প্রথম থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিলো। ওই ওয়ার্ডে বেড সংখ্যা ছিলো ৩০টি। কিন্তু রোগী সংখ্যা বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি বিবেচনায় গত বৃহস্পতিবার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডকে ডেঙ্গু ওয়ার্ড হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ৩৯ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ডেও ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সবমিলিয়ে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ৮০টি বেড প্রস্তুত করা হয়েছে।এদিকে, সোমবার (৩১ জুলাই) সকাল ৯টায় মোট ৬৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি ছিলেন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলো। এরমধ্যে ৪ জনই রাজশাহীর স্থানীয় বাসিন্দা। এদিন ৯ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলো। এ পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে ২৭৮ জন রোগী ডেঙ্গু ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিয়েছেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০৮ জন। এরমধ্যে ৭২ জন রাজশাহীর স্থানীয় ব্যক্তি। আর গত ৮ জুলাই একজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর প্রথম মৃত্যু হয়।রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কীটতত্ত¡ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী ‘অধিকতর ঝুঁকির’ মধ্যে রয়েছে রাজশাহী। একই ঝুঁকির চিত্র তুলে ধরে রামেকের মেডিসিন বিভাগের অ্যাসিসটেন্ট প্রফেসর ও ডেঙ্গু ওয়ার্ড ইনচার্জ ডা. তানজিলুল বারী জানান, ডেঙ্গু পরিস্থিতি প্রতিদিনই খারাপ হচ্ছে। রোগী ভর্তি সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। প্রথম দিকে স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত না থাকায় ঝুঁকি কম ছিলো। কিন্তু স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ বাড়ছে মানে ঝুঁকিও বাড়ছে।তিনি আরও জানান, ডেঙ্গু আক্রান্তের অনেক লক্ষণ থাকলে জ¦র নিয়েই অধিকাংশ রোগী আসছেন। সঙ্গে ডায়রিয়া ও কাশি থাকছে। ডেঙ্গু পরিক্ষায় দেখা যাচ্ছে, শুধু জ¦র নিয়েও ডেঙ্গু পজেটিভ হয়ে যাচেছ। সুতরাং এই সময়টাই জ¦র, ডায়রিয়া বা কাশিকে অবহেলা করার কোন সুযোগ নেই। শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ার আগেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি। আর ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার আগেই প্রতিরোধে সবাইকে গুরুত্ব দিতে হবে।রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহম্মদ বলেন, রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় একটি বিশেষায়িত টিম এখানে কাজ করছে। তবে আমাদেরও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। রোগী অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকলে হিমশিম খেতে হয়। আর ডেঙ্গুর সংক্রমণ যেন না বাড়ে সেদিকে সংশ্লিষ্ট সকলকে যেমন নজরদারি বাড়াতে হবে, ব্যক্তি সতর্কও থাকতে হবে।এদিকে, রামেক হাসপাতাল ছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ও বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে অনেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচেছন। এতে জেলার প্রকৃত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর চিত্র ভয়ংকর।রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, শুধু রাজশাহী না; সারাদেশেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। তবে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করা হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com