মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
রাজশাহী বিভাগীয় শহর হওয়া সত্বেও শিশুদের মানসিক বিকাশ কিংবা আনন্দ বিনোদনের জন্য ছিল না কোন বিনোদন কেন্দ্র বা শিশু পার্ক। বিষয়টি উপলব্ধি করেছেন বিনোদন প্রেমি রাজনীতিবিদ ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর নগরবাসীর আনন্দ ও বিনোদনের সুবিধার্থে নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ছোটবনগ্রাম পাওয়ার হাউজ মোড় সংলগ্ন জায়গায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত বঙ্গবন্ধুর কণিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের নামে শিশু পার্ক নির্মাণ করেছেন। শিশু পার্কটির উন্নয়নে ব্যয় হয়েছে চার কোটি ৪২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। সরেজমিনে পার্কটি ঘুরে দেখা গেছে, শেখ রাসেল শিশু পার্কের চারপাশে প্রাচীর বেষ্টিত। গণমানুষের প্রবেশের জন্য উত্তর পার্শ্বে রয়েছে বিশাল গেইট। এ পার্কে চারপাশে শোভাবর্ধন করে দাঁড়িয়ে রয়েছে নানা প্রজাতির প্রাচীন গাছপালা। দর্শনার্থীদের দেখার জন্য রয়েছে ভাস্কার্যের তৈরী নজর কাড়া বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ।
এছাড়াও শেখ রাসেল শিশুপার্কে রয়েছে উন্নতমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ আধুনিক প্রবেশ গেট, ওয়াটার বডি, দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ, মুক্তমঞ্চ, সবুজায়ন, কৃত্রিম টিলা, শিশুদের জন্য বিভিন্ন রাইড, চলাচলের জন্য রাস্তা, পাবলিক টয়লেটসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। শিশুদের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন রাইড যুক্ত করা হবে। এ পার্ক শিশুদের বিনোদনের সুযোগের পাশাপাশি নগরীবাসীর আনন্দ বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সবুজের সমারোহে সাজানো গোছানো এলাকাটি যে কাউকে ক্ষণিকের জন্য আনন্দ দেবে। শেখ রাসেল শিশু পার্কটি বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হতে চলেছে। যেন মন কেড়েছে নগরীর বিনোদন প্রেমী মানুষের। শেখ রাসেল শিশু পার্কটির পূর্ব দিকে ছোটবোনগ্রাম মাধ্যমিক আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় অবস্থিত। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক জানান, নগরীতে দীর্ঘদিন যাবৎ শিশুদের বিনোদনের জন্য আলাদা কোন বিনোদন কেন্দ্র বা পার্ক ছিল না। রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন দায়িত্ব গ্রহণের পর আমাদের এই স্বপ্ন পূরণ করেছেন। নান্দনিক সৌন্দর্যের আধুনিক পার্কটি শুধু শিশুদের নয়, সাড়া ফেলবে অভিভাবকদের মধ্যেও।