admin
- ২৯ নভেম্বর, ২০২২ / ১১৫ Time View
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
রাজশাহীতে আগামী ৩ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ আয়োজনের জন্য ১ ডিসেম্বর থেকে নির্ধারিত মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। অবশ্য সমাবেশ ও মাইক ব্যবহারের জন্য রাজশাহী মহানগর পুলিশের অনুমতি এখনো মেলেনি। অনুমতির বিষয়ে পুলিশ কমিশনারের আশ্বাস পাওয়ার কথা জানিয়েছেন গণসমাবেশের সমন্বয়কারী ও বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।
গত অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি বিএনপির পক্ষ থেকে রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশের জন্য মাঠ চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়। দীর্ঘদিন পরেও অনুমতি না পাওয়ায় সোমবার বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের কথা শোনার পর জেলা প্রশাসক ১ ডিসেম্বর থেকে মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, বিএনপি ৩ ডিসেম্বর দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মাঠ ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে। এখন তাঁরা বলছেন, আগে থেকে মাঠ দিতে হবে। এটা হতে পারে না। মাঠটি একটি বিদ্যালয়ের। সেখানে বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। এই পরীক্ষা চলাকালে তাঁরা মাঠে এসে ঝামেলা করবেন— ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে তিনি এটা করতে দিতে পারেন না। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষা রয়েছে। পরের দিন ১ ডিসেম্বর থেকে তাঁরা মাঠ ব্যবহার করতে পারবেন। এটা তিনি বলে দিয়েছেন।
এদিকে, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বের হয়ে বিএনপি নেতারা মহানগর পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখার করার চেষ্টা করেন কিন্তু পুলিশ কমিশনার ব্যস্ত থাকার কারণে তাঁদের সময় দিতে পারেননি। তবে তাঁদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রুহুল কুদ্দুস তালুকদার। তিনি বলেন, পুলিশ কমিশনার তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি ১ ডিসেম্বরের আগে থেকে মাঠ ব্যবহার করতে দেওয়া যায় কি না, সেই চেষ্টা করবেন।
এদিকে সোমবার সকাল থেকেই মাদ্রাসা মাঠে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তারা ডেকোরেটরের লোকজনকে ফিরিয়ে দিচ্ছে। বিএনপির পক্ষ থেকে দলীয় কার্যালয়ে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়েছে, তাদের মাঠে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ তালা দিয়ে রেখেছে। মাদ্রাসা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের চারপাশে বাঁশ দিয়ে পর্দা টানানোর জন্য কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল। তারা কয়েকটি ভেঙে ফেলেছে। এছাড়া ডেকোরেটরের লোকজন মাঠে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু অনুমতি নেই বলে পুলিশ তাঁদের ফিরিয়ে দেয়।