রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
রাজশাহীর পবা উপজেলার ফলিয়ার বিলে এবং দূর্গাপারিলা গ্রামের একটি ছোট বিলে সংস্কারের নামে তিন ফসলী জমিতে পুকুর খননের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে পুকুর খনন বন্ধে স্থানীয় কৃষকরা পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পবা থানার দূর্গাপারিলা গ্রামের বিলে তিন ফসলী প্রায় ১৫০ বিঘা চাষাবাদের জমি রয়েছে। বিলের উত্তর পাশ দিয়ে জমির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ছিল। পাশেই রয়েছে ছোট একটি পুকুর। বর্তমান ওই পুকুরটি এলাকার জামাল হোসেন, নুরুজ্জামানসহ কয়েকজন ব্যক্তি সংস্কার করছেন।
কিন্তু পুরোনো পুকুরটি সংস্কারের নামে তারা তিন ফসলী জমি সীমানা করে পাড় দেয়া শুরু করেছে। এতে দেখা দেখা যায়, পুকুরের পাড়ের বাঁধের কারণে ১৫০ বিঘা সম্পত্তির পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে জলবদ্ধতার সৃষ্টি করবে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেলে স্থানীয় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা রয়েছে। এছাড়াও কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়বে জেনেও পুকুর খননকারীরা প্রভাব খাটিয়ে পুকুরটি খননের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পুকুর খননে বাধা দেয়ায় রীতিমত জমির মালিক ও স্থানীয় কৃষকদের হুমকি ধামকি দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়। অভিযোগকারী ওই বিলের জমির মালিক রুহুল আমীন বলেন, পুকুরটি সংস্কার করলে কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু এখন পুকুরটি সংস্কারের নামে আশপাশে আরো ১২ থেকে ১৫ বিঘা জমি সীমানা করে বড় আকারে পুকুরটি খনন করা হচ্ছে। এতে পুকুরটির পূর্ব ও দক্ষিন পাশের কৃষকদের পুরো জমি জলাবদ্ধার সৃষ্টি হবে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকলে ওই বিলের প্রায় দেড়শ বিঘা জমি পতিত হয়ে পড়বে। এসব জমিতে কোনো ফসল আর হবে না। এতে জমির মালিকরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে। তবে পুকুর খননকারীরা বলছেন, তারা পুরাতন পুকুরটি সংস্কার করছেন। এতে প‚র্ব ও দক্ষিন পাশের কিছু জমি পাড় দেয়ার জন্য বাড়ানো হয়েছে। এতে কোনো ক্ষতি হবে না বলেও তারা বন্তব্য করেন। এব্যাপারে পবা উপজেলার এসিল্যান্ড অভিজিত সরকার জানান, পুকুর খননের ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার পর পুকুর খনন বন্ধ রাখা হয়েছে। সরজমিন পরিদর্শন করে এব্যাপারে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।