বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১০ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে মটমটির বিলে নিয়ে এক নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করার অভিযোগে ৩ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে দুইজন বিজ্ঞ আদালতে ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। রাবিবার (১৪ জানুয়ারি) (১৩ জানুয়ারি দিবাগত) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামি মোঃ আবু হুরায়রা রোহান, মোঃ মনোয়ার হোসেন মুন্না ও মোঃ জুনায়েদ ইসলামকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে মতিহার থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন মোঃ আবু হুরায়রা রোহান (১৮), সে মহানগরীর মতিহার থানার নতুন বুধপাড়ার মো: মতিউর রহমানের ছেলে, মোঃ মনোয়ার হোসেন মুন্না(২৭) ও মোঃ জুনায়েদ ইসলাম (২০), সে একই এলাকায় মোঃ মনিরুল ইসলাম কানেডির ছেলে ও জুনায়েদ মোঃ আসাদুল ইসলামের ছেলে।
রবিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর), মোঃ জামিরুল ইসলাম। তিনি জানান, শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬ টায় মহানগরীর চন্দ্রিমা থানা এলাকার এক নারী রিকশা নিয়ে তার খালার বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বধ্যভূমির সন্নিকটে পৌঁছালে সেখানে আসামি রোহান সেই নারীর সাথে কথা বলার নাম করে পাশেই মটমটির বিলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর আসামি রোহান তার অন্যান্য সহযোগীদের সংবাদ দেয়। তারাও গিয়ে সেই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং আসামি জুনায়েদ মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে । এরপর আসামিরা রাত ৮ টায় ওই নারীকে মতিহার থানার বুধপাড়া আর.বি ফুড গ্যালারীতে জোর করে নিয়ে গিয়ে সেখানেও পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এদিকে তার পরিবার তাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুর ২ টায় মোবাইল ফোন খোলা পেয়ে যোগাযোগ করে তাকে অসুস্থ অবস্থায় বুধপাড়া আর.বি ফুড গ্যালারির সামনে থেকে উদ্ধার করে। ওই নারীর মায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মতিহার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন তৎসহ পণ্যগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে আসামি রোহান ও জুনায়েদ এই ঘটনায় বিজ্ঞ আদালতে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।