শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৪ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
রাজশাহী-কোলকাতা সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের বিষয়ে রেলমন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন, এমপির সাথে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে ঢাকায় রেলভবনে রেলমন্ত্রীর সাথে রাসিক মেয়রের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের শুরুতে রাজশাহী-কোলকাতা ট্রেন চালু করতে রেলমন্ত্রীকে ডিও লেটার প্রদান করেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। বৈঠকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন রেলমন্ত্রী।
ডিও লেটারে রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন উল্লেখ করেন, ‘রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ প্রতিনিয়ত ব্যবসা-বাণিজ্য, উচ্চতর শিক্ষা, দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন বিশেষ করে উন্নত চিকিৎসার প্রত্যাশায় ভারত গমন করে থাকেন। রাজশাহী হতে সরাসরি ভারতে যাওয়ার কোন পরিবহন মাধ্যম না থাকায় এ অঞ্চলের মানুষ নানারূপ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এই কারণে এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে রেলযোগে ভারতের সাথে সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের দাবি দীর্ঘ দিনের। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেল যোগাযোগের ইতিহাস বেশ পুরনো। এরই অংশ হিসেবে বলা যায়, দর্শনা বর্ডার হয়ে ভারতের গেদে রেলপথ ব্রিট্রিশ আমলেই নির্মিত হয়েছে। দর্শনা বর্ডার দিয়ে গেদে হয়ে কোলকাতা বর্তমানে বাংলাদেশ-ভারতের মৈত্রী এক্সপ্রেস চলাচল করে। রেলযোগাযোগ বিদ্যমান থাকায় ঢাকা-কোলকাতা এবং খুলনা-কোলকাতার মতো রাজশাহী হতে কোলকাতা যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল সহজতর হবে আমি বলে মনে করি।’মেয়র আরো বলেন, ‘রাজশাহী ও ভারতের কোলকাতা পর্যন্ত সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলে শস্যভান্ডারখ্যাত উত্তরাঞ্চলের মানুষ সবচেয়ে বেশী উপকৃত হবে চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে। কারণে যেকোনো ধরণের চিকিৎসাসেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতই তাদের প্রথম পছন্দ। রেগুলার হেলথ চেকআপ থেকে শুরু করে ক্যান্সার, লিভার, চোখ, নিউরোলজি ও হার্টের চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ধরণের সার্জারির জন্য প্রতিদিন বহুসংখ্যক মানুষ রাজশাহী থেকে ভারতের কোলকাতা, চেন্নাই, মুম্বাই, নয়া দিল্লী, বেঙ্গালোর, ভেলর, হায়দ্রাবাদের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিতে যায়। এঅঞ্চল থেকে কাছে ও একই ভাষা ও সংস্কৃতি হওয়ার কারণে চিকিৎসা পর্যটনে কোলকাতাই প্রথম পছন্দের স্থান। শুধু তাই নয়, রাজশাহী ও কোলকাতা সরাসরি যাত্রিবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলে ব্যবসা বাণিজ্য সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে। এর ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং জ্ঞান বিনিময় বৃদ্ধি পাবে এবং উভয় দেশের মানুষ এর ফলে ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। রেল ভ্রমণ নিরাপদ, আরামদায়ক ও ব্যয়সাশ্রয়ী হওয়ায় সহজেই এ এলাকার লোকজন রাজশাহী হতে কোলকাতা তথা ভারতে গমন করতে পারবে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য সহ শিল্পায়নের অভূতপূর্ব প্রসার ঘটবে। রাজশাহী তথা উত্তরাঞ্চলের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নেয়াসহ ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি’র অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রতিবেশী বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারতের সাথে সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন যোগাযোগ স্থাপন সময়ের দাবি বলে আমি বিশ্বাস করি। বর্ণিত বাস্তবতার আলোকে রাজশাহী হতে দর্শনা বর্ডার দিয়ে গেদে হয়ে কোলকাতা পর্যন্ত সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।’