বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৩৮ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
রাজশাহীতে নিজ বাসা থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডো অবসরপ্রাপ্ত সেকশন অফিসার আবু তাহের খুরশিদ বকুল এবং চিকিৎসক মেয়ে শাকিরা তাসনিম দোলাকে (২৬) অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। তাসনিম রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ থেকে ডেন্টাল বিডিএস শেষ করেছেন। অপহরণকারীরা নারী চিকিৎসকের বাবাকে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানায় এলাকার সড়কে ফেলে গেলেও নারী চিকিৎসকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। সোমবার ভোরে এই অপহরণের ঘটনা ঘটে।
বাবা-মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় অপহরণকারীরা ওই চিকিৎসকের মাকে পিটিয়ে জখম করেছেন। তিনি এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের বাড়ি রাজশাহী নগরের চন্দ্রিমা আবাসিক এলাকায়। পাঁচতলা বাসার দ্বিতীয় তলায় তারা থাকেন। এটি তাদের নিজের বাসা।
চিকিৎসক শাকিরার মা রেহেনা পারভীন ওরফে শিউলি (৫১) গুরুতর আহত অবস্থায় রামেক হাসপাতালের আট নম্বার ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি জানান, ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য তার স্বামী মসজিদে যান। এ সময় তিনি বাইরের ফটকে তালা লাগিয়ে চাবি সঙ্গে নিয়ে যান।
রেহেনা পারভীন জানান, একটু পরই তালা খোলার শব্দ পেয়ে তিনি এগিয়ে যান, এত তাড়াতাড়ি নামাজ না পড়ে ফিরে আসছেন কি না তা দেখতে। তখন বুঝতে পারেন অপহরণকারীরা তার স্বামীকে জিম্মি করে চাবি নিয়ে এসেছে। এ সময় অপহরণকারীরা তাকে ধরে দেয়ালের সঙ্গে মাথা ঠুকে দেয়। মাথায় তালা দিয়ে আঘাত করে। এরপর তারা তাকে বিছানায় ফেলে গলা চেপে ধরেন।
রেহেনা পারভীন জানান, তার কক্ষে দুজন অপহরণকারী ঢুকেছিল। তারা যখন তাকে ছেড়ে দেয় তখন তিনি দৌড় দিয়ে নিচে নেমে রাস্তার ওপর পড়ে যান। ততক্ষণ এই অপহরণকারীরা তার মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে চলে যায়। তার স্বামীকে সলঙ্গা থানায় নিয়ে যাওয়ার পর তাদের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানিয়েছেন, একটি মাইক্রোবাসে করে তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। চালকসহ অপহরণকারীরা ছয়জন ছিলেন। তাকে তোলার পরেই মুখ বেঁধে ইনজেকশন পুশ করা হয়। তার চেতনা ফিরে এলে তাকে মহাসড়কের পাশে ফেলে দেওয়া হয়।
অপহরণকারীরা চলে যাওয়ার পর খবর পেয়ে রেহেনা পারভীনের আত্মীয়স্বজন এসে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। রেহেনা পারভীন আরও বলেন, বেলা একটার দিকে খবর পেয়েছেন, তার স্বামীকে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানা এলাকায় ফেলে চলে গেছে অপহরণকারীরা। এখান থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত মেয়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ সময় তিনি বারবার বলছেন, ‘আমার মেয়েটাকে ভিক্ষা চাই।