বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১৮ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী :
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী কে জি এম শাহরিয়ারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের উপর হামলা ও ভাঙচুরে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তিসহ তিন দফা দাবিতে আবারও কর্মবিরতি শুরু করেছে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা।
শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ৭২ ঘন্টার (৩দিন) কর্মবিরতির ডাক দেয়া হয়। এর পর আর কোন ইন্টার্ন চিকিৎসক কাজে জাননি।
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবিগুলো হল- রাবি ছাত্র শাহরিয়ারের মৃত্যুর কারণ বের করা এবং হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সমাবেশে নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করেন ইন্টার্ন পরিষদের সভাপতি ডা. ইমরান হোসেন। কর্মবিরতি চলাকালে প্রতিদিন হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দেন তিনি।
ইন্টার্নি পরিষদের আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও রাজশাহী-২ (সদর) আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও বিএমএর সাধারণ সম্পাদক নওশের আলী, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শামীম ইয়াজদানী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ও মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. খলিলুর রহমান।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মামলা রেকর্ড করে তিনদিনের মধ্যে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচী দেয়ার ঘোষণা দেন ডা. ইমরান।
গত বুধবার রাত ৮টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী কে জি এম শাহরিয়ার হলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে যান। এরপর দ্রুত তাকে অ্যাম্বুলেন্সে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে ৮নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর পর চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে হাসপাতালে ভাঙচুর চালান রাবির শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা রাবির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরে রাত ১২টার দিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা একযোগে হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
এ ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও রাবির তিন শতাধীক ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করে তারা। বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরের রাজপাড়া থানায় হাসপাতালের পক্ষে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে অভিযোগ দেন।
এর পর বৃহস্পতিবার বিকেলে হাসপাতাল প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শেষে শুক্রবার সকাল থেকে কাজে ফেরার ঘোষণা দেন হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. ইমরান হোসেন। এ সময় হাসপাতালে হামলা ও ভাঙচুরে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন তিনি। শুক্রবার সকাল থেকে কাজে যোগ দেন ইন্টার্নরা। তবে মামলা রেকর্ড না হওয়া এবং কাউকে গ্রেপ্তার না করায় নতুন করে তিনদিনের কর্মসূচী ঘোষণা করা হল।