মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৯ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী :
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অনন্য উদ্যোগে নেতিবাচক জীবন ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার স্বপ্ন দেখতে শুরু করছে বিভিন্ন সময় অভিযুক্ত ও জামিনপ্রাপ্ত ১১১ জঙ্গি। অফিসার ইনচার্জের নিকট হাজিরা দিচ্ছেন অভিযুক্ত ও জামিনপ্রাপ্ত জঙ্গিরা বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টায় বেলপুকুর থানায় অভিযুক্ত ও জামিনপ্রাপ্ত ৩৩ জন জঙ্গি উপস্থিত হয়ে অফিসার ইনচার্জ মোহাঃ মনিরুজ্জামানের নিকট হাজিরা দেন। এসময় গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার কথা ব্যক্ত করেন। রাজশাহী মহানগীর ১২টি থানার মধ্যে ৬টি থানা যথাক্রমে বোয়ালিয়া, রাজপাড়া, মতিহার, বেলপুকুর, পবা ও চন্দ্রিমা থানায় জঙ্গি সংক্রান্তে ২৬টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৯টি মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি মামলা বিচারাধীন ও ৩ টি তদন্তাধীন রয়েছে। ২৬টি মামলায় ১১১ জনের মধ্যে জেএমবি’র ৮৬ জন, হিযবুত তাহরীরের ১৫ জন, শাহাদৎ আল হিকমা’র ১ জন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ১জন এবং আনসার আল ইসলামের ৮ জন জঙ্গি রয়েছে। তারা প্রত্যেকই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার লড়াই করছেন। এত সংখ্যক জঙ্গিবাদ মামলার আসামিকে এ ধরনের কর্মসূচির আওতায় আনা আরএমপি’র একটি নজিরবিহীন উদ্যোগ। জঙ্গিদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার মোঃ আনিসুর রহমান, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) বলেন, এটি আরএমপি’র প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম। থানায় নিয়মিত হাজিরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জামিনে মুক্ত জঙ্গি মামলার আসামিরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার অঙ্গীকার করেছেন। আমরাও চাই জঙ্গি মামলার আসামিরা জঙ্গিবাদ হতে মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক। উল্লেখ্য, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের বেলপুকুর থানায় মোট ৩৮ জন তালিকাভুক্ত জঙ্গি রয়েছে। এর মধ্যে ৩৩ জন নিয়মিত থানায় হাজিরা দিচ্ছে ও ১ জন জেল হাজতে রয়েছে। থানায় হাজিরা দেওয়া ৩৩ জনের মধ্যে ৩ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাইকোর্টের আদেশে জামিনে মুক্ত রয়েছে। বাকি ৩০ জনের মধ্যে ২৯ জন বিচারাধীন আদালত হতে জামিনে মুক্ত আছে এবং ১জনকে মামলা তদন্তকালে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। তবে ৪ জন জঙ্গির তথ্য সংগ্রহ সংক্রান্তে গৃহীত কার্যক্রম চলমান আছে। পরীক্ষামূলক বেলপুকুর থানায় ৩৩ জনের হাজিরার মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হলো। এপ্রিল থেকে আরও চার থানায় এ কর্মসূচি শুরু করা হবে।
আরএমপি’র এ মহতি উদ্যোগ অভিযুক্ত ও জামিনপ্রাপ্ত জঙ্গি মামলার আসামিরা এবং তাদের পরিবারের সদস্য-সহ নগরবাসীর কাছে প্রশংসিত হয়েছে।