সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৮ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
নিজস্ব সংবাদদাতা, ঈশ্বরদী পাবনা :
স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকা পালন করা এক ব্যক্তির ছেলেকে ঈশ্বরদী উপজেলা নব-গঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য করা নিয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যেও ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগের দপ্তর সেলে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। ঈশ্বরদী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মুশুড়িয়াপাড়ার ভাটাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ খায়রুল ইসলাম। তিনি নব-গঠিত উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির ৮ নং সদস্য । তাঁর বাবা আবুল হোসেন মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকা পালন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ জুলাই মোঃ মাসুদ রানা আহবায়ক, মোঃ সাকত্তিয়াত হোসেন সজীব মালিথাকে যুগ্ন আহবায়ক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেন বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগের পাবনা জেলা শাখার সভাপতি আহমেদ শরীফ ডাবলু ও সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন। এতে খায়রুল ইসলামকে ৮ নম্বর সদস্য করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকেএকাধিক স্থানীয় নেতা অভিযোগ করেন, ‘ঈশ্বরদী উপজেলার হাজার হাজার ত্যাগী নেতা-কর্মী সক্রিয় থাকার পরও কীভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধে বাঙালি নিধন ও কুখ্যাত রাজাকার আবুল হোসেনের পুত্র খায়রুলকে অন্তভূক্ত করা হয়? মুক্তিযুদ্ধের সময় আবুল হোসেনের নেতৃত্বে ঈশ্বরদীতে হত্যা, ধর্ষণ ও বাড়িঘর লুটপাট হয়েছে। টাকার বিনিময়ে যারা খায়রুলকে আহ্বায়ক কমিটির সদস্য করেছে তাঁদের শাস্তি দাবি করছি। এ ছাড়া বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনাও চলছে। এ বিষয়ে পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র ইছাহক আলী মালিথা বলেন, আবুল হোসেন স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন। এটি সর্বজন স্বীকৃত।
ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন আবুল হোসেন কুক্ষাত রাজাকার। স্বাধীনতার সময় সে পাকবাহীনীর সহায়তায় হত্যা-ধর্ষনের মত অনেক অপরাধের সাথে জড়িত ছিল। আবুল হোসেনের ছেলে খায়রুলকেকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের কমিটিতে অন্তভুক্ত করায় আমি পাবনা জেলার নেতাদের খায়রুলকে বাদ দিতে বলে দিয়েছি। খাইরুল ইসলামকে অন্তভুক্ত করায় বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে দেখছি। সেচ্ছাসেবকলীগের এক পদ বঞ্চিত নেতা বলেন, অর্থের বিনিময়ে রাজাকার পুত্র খায়রুল ইসলামকে অন্তভূক্তি করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার ঘৃণা ও ধিক্কার জানাই। পাশাপাশি জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে খাইরুলের নাম বাদ দিতে আহবান জানাচ্ছি।